গণধর্ষিত হওয়ার আগে শেষবার ফোনটা তাঁকেই করেছিলেন তরুণী চিকিত্‍সক. বলেছিলেন, 'আমার ভয় করছে৷ এই লোকগুলোকে সুবিধের মনে হচ্ছে না৷' দিদির কথা শুনে বোন বলেছিলেন, 'তুই একটা ক্যাব নিয়ে নে৷' তারপর আর দিদিকে ফোনে পাননি৷ পরে দগ্ধদেহ উদ্ধার হয় দিদির৷

শুক্রবার ভোরে দিদির ধর্ষকদের এনকাউন্টারে মৃত্যুর খবর পেয়ে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত দিশার বোন৷ বললেন, 'আমি খুব খুশি ওদের এনকাউন্টারে মৃত্যুর খবর পেয়ে৷ আমি পুলিশকে ও সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানাতে চাই৷ আমায় সাপোর্ট করার জন্য, পাশে থাকার জন্য৷ আমি গোটা দেশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি পাশে থাকার জন্য৷'

হায়দরাবাদ ধর্ষিতা তরুণীর বাবার কথায়, 'তেলঙ্গানা সরকার ও পুলিশকে ধন্যবাদ৷ আমার মেয়ের আত্মা এ বার শান্তি পেল৷'

মৃত অভিযুক্তরা হল, মহম্মদ (২৬), জল্লু শিবা (২০), জল্লু নবীন (২০) ও চিন্তাকুন্টু চেন্নাকেসাভুলু (২০)৷ এদেন ৩০ নভেম্বর গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷ এক মহিলা চিকিত্‍সককে ধর্ষণ করে খুন করে দেহ জ্বালিয়ে দেয় এরা৷ পুলিশের কাছে নিজেদের দোষ কবুল করে ৪ জনেই৷ চেরাপল্লি সেন্ট্রাল জেলে ৪ জন বিচারাধীন বন্দি ছিল৷

গত ২৮ নভেম্বর হায়দরাবাদে এক মহিলা চিকিত্‍সকের দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়৷ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করে ৪ জনই৷

হায়দরাবাদ পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, পুলিশ হেফাজত থেকে পালাতে যাচ্ছিল ৪ জন৷ ভোর সাড়ে ৩টেয় ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য৷ ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়করে কাছে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি ছোড়ে৷

News18bangla