মারা গেলেন ‘কাট-কপি-পেস্ট’ আবিষ্কারক ল্যারি টেসলার
2020-02-21 00:00:30
কম্পিউটারে হরহামেশা ‘কাট-কপি-পেস্ট’ করে আসছি আমরা। কিন্তু এই অপরিহার্য প্রযুক্তির আবিষাকর কে- তা কি আমরা জানি? গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ৭৪ বছর বয়সে মারা গেলেন এই প্রযুক্তির আবিষ্কারক কম্পিউটার বিজ্ঞানী ল্যারি টেসলার।
বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট গিযমোদোর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়। টেসলারের সবচেয়ে বড় অবদান কম্পিউটার আর মোবাইল ফোনকে মানুষের জন্য আরামদায়ক, ব্যবহার উপযোগী করে তৈরি করা।
টেসলারের জন্ম ১৯৪৫ সালে নিউ ইয়র্কে। পড়াশোনা করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে। স্নাতক শেষে গবেষণা করেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে। এসময় যুদ্ধবিরোধী ও কর্পোরেট বিরোধী একচেটিয়া আন্দোলনে জড়িত হন তিনি। তার অন্যতম লক্ষ্য ছিল আইবিএম।
এরপর ১৯৭৩ সালে জেরক্স পলো আল্টো রিসার্চ সেন্টারে (পিএআরসি) তে চাকরি নেন টেসলার। সেখানে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত কাজ করেন তিনি।
জেরক্স পিএআরসির সবচেয়ে বড় অবদান মাউস-চালিত গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস। এখানে ল্যাবরেটরিতে টিপ মটের সঙ্গে কাজ করেছিলেন টেসলার। এসময় ‘জিপসি’ নামে একটি ওয়ার্ড প্রসেসর আবিষ্কার করেন তারা। এই প্রসেসর থেকেই ‘কাট-কপি-পেস্ট’ প্রযুক্তির আবিষ্কার।
১৯৮০ সালে অ্যাপল কম্পিউটারে যোগ দেন টেসলার, সেখানে ছিলেন ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত। এতগুলো বছর ধরে অ্যাপলের বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন তিনি। কাজ করেছেন অ্যাপলনেটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট, চিফ সায়েন্টিস্ট হিসেবে।
১৯৯৭ সালে অ্যাপল ছেড়ে যাওয়ার পরে, টেসলার স্টেজকাস্ট সফ্টওয়্যার নামে একটি সংস্থা সহ-প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখানে শিশুদের জন্য প্রোগ্রামিং এর বিভিন্ন বিষয়গুলো সহজভাবে শিখতে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন নির্মাণে কাজ করেন তিনি।
২০০১ সালে আমাজনে যোগ দেন টেসলার। সেখানে শপিং এক্সপেরিয়েন্সের ভিপির পদে কাজ করেন তিনি।
এরপর ২০০৫ সালে চলে যান ইয়াহুতে। সেখানে ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ও ডিজাইন গ্রুপের নেতৃত্ব দেন তিনি। ২০০৮ সালে ইয়াহু ছেড়ে যোগ দেন ২৩এন্ডমি নামক এক প্রতিষ্ঠানে।
২০০৯ সাল থেকে মূলত কনসাল্টিং কাজে ব্যস্ত থেকেছেন তিনি।
কম্পিউটার প্রযুক্তিতে টেসলারের অবদানই মূলত অফিস আদালতের গন্ডি ছাড়িয়ে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে কম্পিউটার।