19793

৫ মিনিটেই করোনা টেস্ট করতে পারবে অক্সফোর্ডের কিট

৫ মিনিটেই করোনা টেস্ট করতে পারবে অক্সফোর্ডের কিট

2020-10-17 01:42:34

এখন টেস্ট করালে রিপোর্ট পেতে সময় লাগে অন্তত ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা। অক্সফোর্ডের সাম্প্রতিক আবিষ্কার বলছে এ বার মাত্র ৫ মিনিটেই পাওয়া যাবে কোভিড ১৯ পরীক্ষার ফলাফল। বিমানবন্দরে অথবা ব্যবসাক্ষেত্রে খুবই কাজে লাগবে এই র্যাপিড টেস্ট।

আগামী বছরের গোড়া থেকেই শুরু হয়ে যাবে টেস্টিং ডিভাইজ তৈরির কাজ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা অনুমোদিত হতে সময় লাগবে অন্তত আরও ছয় মাস।

গবেষকরা জানিয়েছেন এই টেস্টিং পদ্ধতিতে খুব নিখুঁত ভাবে অন্য ভাইরাস থেকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করা যায় কোভিড ১৯ ভাইরাস। তাঁদের কথায়, ভাইরাসের কণাকে খুব তাড়াতাড়ি চিহ্নিত করার ক্ষমতা রয়েছে এই পরীক্ষা পদ্ধতির। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক অ্যাচিলিস কাপানিডিস জানিয়েছেন যে তাঁদের এই পরীক্ষাপদ্ধতি খুব সহজ এবং দ্রুত।


বিপুল পরিমাণে টেস্টিং-এর ক্ষেত্রে সব চেয়ে কার্যকর র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। তবে বাজারে এখন যে সমস্ত র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট রয়েছে, সেগুলো খরচের নিরিখে সস্তা হলেও সঠিক ফলাফল দেওয়ার ক্ষেত্রে পিসিআর টেস্টের মতো ভরসাযোগ্য হয়ে উঠতে পারেনি তেমন। মঙ্গলবার ইওরোপের দেশগুলিতে র্যাপিড টেস্ট কিট নিয়ে এসেছে সিয়েমেন্স হেলথিনিয়ারস ওষুধ সংস্থা। তবে ক্রমশ বাড়তে থাকা চাহিদা মতো টেস্টিং কিট যোগান দেওয়া সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে সংস্থার সদস্যদের মধ্যেই।

অন্য দিকে অক্সফোর্ড জানিয়েছে আগামী শীতে অতিমারী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো অবস্থায় চলে আসবে তাদের আবিষ্কৃত র্যাপিড টেস্টিং কিট। তবে ভ্যাকসিন এসে গেলেই যে সমস্যার সমাধান হবে না, আপাতত বেশ কিছু বছর করোনার সঙ্গেই করতে হবে বসবাস, সেই ব্যাপারে একমত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরাও।

প্রসঙ্গত শীত আসার আগে একটা সামান্য হলেও ভালো খবর রয়েছে। মরশুম বদলের সময় কি আপনার ঘন ঘন নাক টানা, হাঁচি-কাশি লেগেই থাকে? তা হলে আপনি অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকতেই পারেন। কোভিড ১৯ সংক্রমণের সম্ভাবনা আপনার অনেকটাই কম। এমনই বলছে সাম্প্রতিক আরেকটি গবেষণা। তার কারণ, আপনার শরীরে ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে আছে, যা নতুন ভাইরাসের সঙ্গে লড়ে শরীরকে দুর্বল হয়ে যাওয়া থেকে আটকায়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় উঠে আসা তথ্য বলছে আমাদের মধ্যে অনেকেরই আগে করোনা সংক্রমণ হয়েছে। যা কিনা 'কমন কোল্ড করোনা ভাইরাস'। আমাদের মধ্যে অনেকেরই সর্দি, কাশি, হাঁচির ধাত রয়েছে। ঘন ঘন ঠাণ্ডা লাগে। এতদিন ভাবা হয়েছিল তাঁদের বুঝি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বা ইমিউনিটি খুব দুর্বল। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গিয়েছে করোনা ভাইরাসের অনেক রকম প্রকারভেদের মধ্যে কোভিড ১৯ ভাইরাস একটি। এ ছাড়াও নানা রকমের করোনা ভাইরাস রয়েছে, এবং আমাদের মধ্যে অনেকেরই এর আগে নন সার্স সিওভি ২ সংক্রমণ হয়ে গিয়েছে। উপসর্গ হিসেবে সাধারণ সর্দি, কাশি, জ্বর এইসব ছিল, এক সময়ে সেরেও গিয়েছে। এবং শরীরে ওই ভাইরাসের অ্যান্টিবডি ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছে।

সম্পাদক: ইসমাঈল হোসাইন রাসেল
যোগাযোগ: ক্যাম্পাস টাইমস
৪৩ শহীদ নজরুল ইসলাম সড়ক, হাটখোলা রোড, চৌধুরী মল, টিকাটুলি, ঢাকা-১২০৩
মোবাইল: ০১৬২৫ ১৫৬৪৫৫
ইমেইল:[email protected]