21503

ভর্তি পরীক্ষায় আগের জিপিএ বহাল চান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুরা

ভর্তি পরীক্ষায় আগের জিপিএ বহাল চান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুরা

2021-03-01 00:04:53

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আগের জিপিএ বহাল রাখা এবং গুচ্ছ পদ্ধতিতে প্রাথমিক বাছাই পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানিয়ে মাবববন্ধন করেছে ২০২০-২১ সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে তারা এ মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষা হয়নি। তাদের পূর্বের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে এইচএসসির রেজাল্ট দেওয়া হয়েছে। যার কারণে, অনেক শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ করলেও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ভালো প্রস্তুতি নিলেও তারা পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পায়নি। এতে করে তাদের সঠিক মেধার মূল্যায়ন হয়নি।

অন্যদিকে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার মূল্যায়নের প্রমাণ দিতে চান। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার আবেদনে আগের তুলনায় জিপিএ বাড়িয়ে দিয়েছে। আবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রাথমিক সিলেকশনে কম জিপিএর কারণে বাদ পড়বে অনেক শিক্ষার্থী। যার কারণে, তারা অনেকেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেনা। আর প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা।

মানববন্ধনে বরিশাল সরকারি হিজলা কলেজের শিক্ষার্থী মো: সুমন সিকদার বলেন, আগে পয়েন্ট ছিল বিজ্ঞান শাখায় আট, ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় সাড়ে সাত, মানবিক শাখায় সাত। কিন্তু এবার তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সাথে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রাথমিক সিলেকশনের কথা বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারির কারণে আমরা পরীক্ষা দিতে পারিনি। আমাদের যাদের এসএসসি রেজাল্ট খারাপ হয়েছিল পরীক্ষা না হওয়ার কারণে এসএসসি রেজাল্ট আমাদের খারাপ হয়েছে। আমরা এতদিন প্রিপারেশন নিলাম ভর্তি পরীক্ষার জন্য হঠাৎ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে আমরা পরীক্ষা দিতে পারবো না। আমরা বলতে চাই আমরা তো পরীক্ষা দিতে পারিনি। একটা পরীক্ষা খারাপ হতেই পারে। আমরা আমাদের মেধার যোগ্যতা দেখাতে পারেনি। কিন্তু আমরা ভর্তি পরীক্ষায় সে যোগ্যতা দেখাতে চাই। আমরা মেধা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হবো। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমস্যা কোথায়।

চট্টগ্রাম সরকারী সিটি কলেজের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের অনিচ্ছাকৃত শর্তেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের অটো পাস দিয়েছে। আমরা এটি চাইনি, চেয়েছিলাম পরীক্ষা দিয়ে আমাদের যোগ্যতা যাচাই করতে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের যোগ্যতা প্রমাণের সম্ভব হয়নি। দেশের বৃহৎ স্বার্থে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যেভাবে আমাদের বলেছেন আমরা সেভাবে মেনে নিয়েছি। শিক্ষামন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন এসএসসি পরীক্ষা তোমাদের যাচাই করা না হলেও অবশ্যই তোমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা যাচাই করা হবে। এই আশায় আমরা চার মাস রাত দিন না খেয়ে পড়াশোনা করেছি।

শাহাদাতা আরও বলেন, এ সময়ে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে জিপিএ বাড়ানো হয়েছে যা অনৈতিক সিদ্ধান্ত। যেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী, সঠিক নেতৃত্ব আসে, সকল অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদ করা হয়। সেখানেই অন্যায় করা হচ্ছে। আমরা এ অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় আগের জিপিএ পুনর্বহাল রাখা হোক। আমাদের ভর্তি পরীক্ষায় বসিয়ে আমাদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ দেওয়া হোক।

এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে সহমত পোষণ করে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, করোনার কারণে এইচএসসি পরীক্ষা হয়নি। সেটির কারণে যারা ভুক্তভোগী তারা এখানে দাঁড়িয়েছেন। সে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে আসা উচিত। প্রশাসনের উচিত করোনার কারণে যেহেতু শিক্ষার্থীর পরীক্ষা দিতে পারে নাই। যেহেতু তারা তাদের মেধার মূল্যায়ন করতে পারিনি। তাই প্রশাসনের উচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় বাসার সুযোগ করে দেওয়া। যাতে করে তারা তাদের মেধার সঠিক মূল্যায়ন করতে পারে।

সম্পাদক: ইসমাঈল হোসাইন রাসেল
যোগাযোগ: ক্যাম্পাস টাইমস
৪৩ শহীদ নজরুল ইসলাম সড়ক, হাটখোলা রোড, চৌধুরী মল, টিকাটুলি, ঢাকা-১২০৩
মোবাইল: ০১৬২৫ ১৫৬৪৫৫
ইমেইল:[email protected]