23735

টাঙ্গাইলের ডিসি ও এসপির অপসারণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের স্মারকলিপি

টাঙ্গাইলের ডিসি ও এসপির অপসারণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের স্মারকলিপি

2022-01-13 02:41:27

টাঙ্গাইলের স্থানীয় রাজাকার খালেকের নির্দেশে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সবুর খান বীর বিক্রম এর সন্তান শাহাদাৎ হোসেন খানের ওপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যাচেষ্টায় জড়িতদেরকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং টাঙ্গাইলের ডিসি ও এসপির অপসারণসহ চার দফা দাবিতে আজ ১২ জানুয়ারী বুধবার দুপুর ১২ টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি শাহীন সিকদার। আরোও বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য বিপ্লব সবুর খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন আহমেদ জালাল, ভাস্কর শিল্পী রাশা ও ঢাবির সভাপতি সনেট মাহমুদ। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করলে শাহবাগে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। পরে সংগঠনের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। স্মারকলিপি প্রদানের সময় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ছিলেন- সংগঠনের উপদেষ্টা সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল মামুন, সহ-সভাপতি শাহীন সিকদার, মুহাম্মদ নুর আলম সরদার ও ঢাবির সভাপতি সনেট মাহমুদ। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ডেসপাচ রাইটার নিজাম উদ্দিন।

এর আগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল মামুন বলেন, "বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন ও সংগ্রামের পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য রাজপথ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার পরেও স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের দোসররা সমগ্র দেশে প্রতিনিয়ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারদের ওপর একের পর এক হামলা, মামলা, জমি দখল, হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বারবার দাবি করা সত্ত্বেও আজও পর্যন্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন প্রণয়ন করা হয়নি যে কারণে দেশব্যাপী প্রতিনিয়ত এধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে বলে আমরা মনে করি। গত ১লা জানুয়ারী টাঙ্গাইলের স্থানীয় রাজাকার খালেকের নির্দেশে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সবুর খান বীর বিক্রম এর সন্তান শাহাদাৎ হোসেন খানের ওপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। টাঙ্গাইলে এর আগেও জেনারেল হাসপাতালে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছিল। কোন ঘটনার সঠিক বিচার না হওয়ার কারণে টাঙ্গাইলে প্রতিনিয়ত এধরণের ঘটনাগুলো সংঘটিত হচ্ছে। অতীতের ঘটনাসমূহ এবং এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য টাঙ্গাইলের ডিসি ও এসপিকে জবাবদিহি করার দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।"

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য বিপ্লব সবুর খান বলেন,"আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আবদুস সবুর খান বীর বিক্রমের বড় ছেলে শাহাদৎ হোসেন খানকে (৬০) হত্যার উদ্দেশ্যে সদর উপজেলার করটিয়া এলাকার চিহ্নিত স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার পরিবারের সন্তান ও তার সহযোগীরা অতর্কিত হামলা চালায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী সাব্বির অস্ত্র বুকে তাক করে গুলি চালানোর চেষ্টা করে। তার সহযোগী হিলেল, রাতুল ও ইমনসহ মামলার অন্য আসামীরা শাহাদাৎ হোসেন খানের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। পথচারীরা এসে বাধা দিলে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে পালিয়ে একটি দোকানে আশ্রয় নিয়ে সে হত্যার হাত থেকে রক্ষা পায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত সকল আসামীকে গ্রেফতার করেনি যা কখনোই কাম্য নয়। আমি নিরুপায় হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিচার চাইতে আজ এখানে দাঁড়িয়েছি।"

বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার বলেন, "অতীতে সকল হামলায় জড়িত আসামীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতো না। বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারদেরকে প্রাপ্য সম্মান দেয়া রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। কিছুদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেয়া আমাদের কর্তব্য। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিনিয়ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারদের ওপর হামলা-নির্যাতন চলমান রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির দোসররা প্রতিনিয়ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারদেরকে হত্যা, হামলা, নির্যাতন ও রক্তাক্ত করে যাচ্ছে। এমনকি যুদ্ধাপরাধ মামলার বাদী ও সাক্ষীদেরকেও রক্তাক্ত করা হচ্ছে যা রাষ্ট্রের জন্য অনেক বড় অশনিসংকেত।"

বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল বলেন, "বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনকে সফল ও সার্থক করার জন্য অবশ্যই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারদের জীবনের নিরাপত্তা রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে। চলতি বছরে যুদ্ধাপরাধ আদালতের প্রায় ১০ জন বাদী ও সাক্ষীর ওপর হামলা হয়েছে। এছাড়াও এই বছরে প্রায় ২০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলা ও নির্যাতন হয়েছে। দুইজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। অধিকাংশ হামলা ও নির্যাতনের ঘটনার ক্ষেত্রে প্রশাসন ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সরকার নীরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে যা কখনোই কাম্য নয়। স্থানীয় প্রশাসন ও দলের ভিতর ঘাপটি মেরে থাকার স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্যদের প্রত্যক্ষ মদদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারদের ওপর হামলা, নির্যাতন, জমি দখলের মতো একটার পর একটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমাদেরকে দেখতে হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের নিকট বিচার চেয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারদেরকে অনেক সময় উল্টো হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।"

ভাস্কর শিল্পী রাশা বলেন,"প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে স্বাধীনতা বিরোধীদের বংশধররা ঘাপটি মেরে বসে আছে। আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনগুলোর অনেক পদে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির দোসররা অনুপ্রবেশ করেছে। সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে ইউপি চেয়ারম্যান পর্যন্ত অনেক জায়গায় স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের বংশধররা আধিপত্য বিস্তার করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষদের কোণঠাসা করে রেখেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দুর্বল করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারদেরকে প্রশাসন ও দলের বিভিন্ন পর্যায়ে সুকৌশলে বঞ্চিত করে রাখা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষ করা হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করলে আজকে হয়তোবা আমাদেরকে এধরণের ঘটনাগুলো বারবার দেখতে হতো না। আওয়ামী লীগসহ এর অঙ্গসংগঠন এবং প্রশাসনের অধিকাংশ জায়গা এখন স্বাধীনতা বিরোধীদের দখলে। ঘুষ আর মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিরা দল ও প্রশাসন ঢুকে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছে। এরা প্রশাসন ও দলে ঘাপটি মেরে বসে থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির মানুষদেরকে কোণঠাসা করে রেখেছে। এদেরকে চিহ্নিত করে প্রশাসন ও দল থেকে দ্রুত বের করে না দিলে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে একদিন চরম মূল্য দিতে হবে বলে আমরা শঙ্কা প্রকাশ করছি। এদের আশ্রয়দাতাদেরকেও চিহ্নিত করে দল থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে হবে।"

Caption

 

সংগঠনের ঢাবি শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ বলেন, "গত ২৪ নভেম্বর কক্সবাজারের মহেশখালীতে মেয়র মকছুদের পিতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলার বাদী ও সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন মামলার অভিযোগে বলেছেন, যুদ্ধাপরাধ মামলা করার কারণে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর ওপর হামলা করা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৪ নভেম্বর জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মহেশখালী পৌরসভার মেয়র ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মকছুদ মিয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়ে তাঁকে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি আজও কোন বিচার পাননি। টাঙ্গাইল, কক্সবাজারের মহেশখালী ছাড়াও সম্প্রতি দিনাজপুর সদর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মমিনুল ইসলামের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। এভাবে প্রতিনিয়ত দেশের কোথাও না কোথাও বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারদের ওপর হামলা-নির্যাতনের চিত্র দেখতে হচ্ছে যা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির শাসনামলে কখনোই মেনে নেয়া যায় না।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট দাবি, দ্রুত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। প্রতিবছর যাচাই-বাছাইয়ের নামে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে হয়রানি বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করুন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি স্বচ্ছ চূড়ান্ত তালিকা দ্রুত প্রণয়নের পাশাপাশি রাজাকার, আলবদর ও আলশামসদের তালিকা জাতির সামনে প্রকাশের ব্যবস্থা করুন। স্বাধীন বিরোধী পরিবারের বংশধররা যারা দল ও প্রশাসনে ঘাপটি মেরে আছে তাদেরকে চিহ্নিত করে এদের নাগরিকত্ব বাতিল করতে হবে।"

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, "মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারদের জানমাল রক্ষার জন্য দ্রুত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে। অন্যথায় আমরা দেশব্যাপী আরোও কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবো।"

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতি শাহিন সিকদার বলেন, "জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দিতে বারবার ব্যর্থ হওয়ায় অবিলম্বে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। টাঙ্গাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সবুর খান বীর বিক্রম এর সন্তান শাহাদাৎ হোসেন খানের ওপর হামলাকারী রাজাকার ও তার সন্ত্রাসী পুত্রদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো।"

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে চার দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের চার দফা দাবিসমূহ নিম্নরূপঃ

১. টাঙ্গাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আবদুস সবুর খান বীর বিক্রম এর সন্তান শাহাদাৎ হোসেন খানের ওপর হামলাকারী সকল সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

২. টাঙ্গাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারদের নিরাপত্তা দিতে বারবার ব্যর্থ হওয়ায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অপসারণ করতে হবে।

৩. সমগ্র দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারদের ওপর হামলা-নির্যাতন বন্ধ করার জন্য অবিলম্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।

৪. মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠন ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অনুপ্রবেশকারী স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার ও তাদের বংশধরদের চিহ্নিত করে দল ও প্রশাসন থেকে দ্রুত বহিষ্কার করে এদের নাগরিকত্ব বাতিল করতে হবে।

সম্পাদক: ইসমাঈল হোসাইন রাসেল
যোগাযোগ: ক্যাম্পাস টাইমস
৪৩ শহীদ নজরুল ইসলাম সড়ক, হাটখোলা রোড, চৌধুরী মল, টিকাটুলি, ঢাকা-১২০৩
মোবাইল: ০১৬২৫ ১৫৬৪৫৫
ইমেইল:[email protected]