25575

আইভিআই-এর তৃতীয় বাংলাদেশি গবেষক হলেন পাবিপ্রবির জুলহাস সুজন!

আইভিআই-এর তৃতীয় বাংলাদেশি গবেষক হলেন পাবিপ্রবির জুলহাস সুজন!

2022-06-21 08:28:36

International vaccine Institute (IVI) এর তৃতীয় বাংলাদেশী গবেষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(পাবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী জুলহাস সুজন।

২০ জুন (সোমবার) দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ভ্যাকসিন ইন্সটিটিউট এর হেড অফিসে গবেষক হিসাবে যোগদান করেন তিনি।

এ অর্জনে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে জুলহাস সুজন বলেন,"কিছু অর্জনের পিছনে আসলে অনেক মানুষের অবদান থাকে, আমার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। আমার পরিবার, শিক্ষক, বন্ধুরা, নিজের সফটওয়্যার ফার্ম এর সহকর্মীরা, বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতা সব কিছুই আসলে সমান ভাবে অবদান রেখেছে। সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি সর্বদা একটি প্রিন্সিপাল ফলো করি তা হলো আমার বাবার সাথে পরামর্শ এবং প্রতিদিন কম পক্ষে একবার কথা বলা। তবে এই আনন্দের মধ্যেও কেন জানি শান্তি পাচ্ছি না সিলেটের এই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে। আল্লাহ তা'য়াল সবাইকে রক্ষা করুন।"

জুলহাস সুজন নওগাঁর সন্তান।জন্মগ্রহণ করেছেন এক নিম্নবিত্ত কৃষক পরিবারে। যদিও একসময় তাদের পূর্ব পুরুষের প্রায় ৪০০ বিঘার এক বিশাল তালুকদারী ছিল, যা এখন অতীত স্মৃতি। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ ৫ অর্জন করে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ফার্স্ট ক্লাস সেকেন্ড (৩.৮১/৪.০০) পেয়ে একটি সফট্ওয়্যার কোম্পানিতে কিছুদিন চাকুরী করেন তিনি। পরবর্তীতে বসুন্ধরা গ্রুপ, ইনফোসিস-ইন্ডিয়া, ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস ফর হেলথ-আমেরিকা বেজড ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠান, ইউনিভার্সিটি অফ অসলো-নরওয়ে এবং ইন্টারন্যাশনাল ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট এর CAPTURA বাংলাদেশ প্রজেক্ট এর ডিরেক্টর হিসাবে গত ৯ বছর নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছেন।

এর পাশাপাশি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক হেলথ এ মাস্টার্স (৩.৮৭/৪.০০) তার কর্মজীবনে নতুন গতি করেছে। কো-ফাউন্ডার হিসেবে তার প্রতিষ্ঠিত সফটওয়্যার কোম্পানি দেশ ও দেশের বাহিরে বেশ কিছু ভালো মানের প্রজেক্ট এ কাজ করেছেন তিনি।

গত ২ বছর ধরে জুলহাস সুজন বাংলাদেশ সহ আরো ১১টি দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেসিস্টেন্স নিয়ে কাজ করছেন। পাবলিক হেলথ ইনফোরম্যাটিক্স স্পেশালিস্ট হিসেবে তিনি প্রোগ্রাম পরিচালনা, সফটওয়্যার ও তথ্য ভান্ডার তৈরী, তথ্য বিশ্লেষণ এবং তার ব্যবহার, রিসার্চ পেপার লেখা থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজে সমভাবে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।

সফলতার সাথে ইন্টারন্যাশনাল ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট এর বাংলাদেশের কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর ২০ জুন (সোমবার) দক্ষিণ কোরিয়ার হেড অফিসে গবেষক হিসাবে যোগদান করেছেন।

প্রসঙ্গত, ইন্টারন্যাশনাল ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট সারা পৃথিবীতে ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি আরো কিছু সংক্রামক রোগ নিয়েও কাজ করছে।এটি ১৯৯৭ সালে United Nations Development Programme (UNDP) ইন্টারন্যাশনাল ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট সিউল, দক্ষিণ কোরিয়াতে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।এতে ৩৬টি দেশ রয়েছে যার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া, সুইডেন, ভারত ও ফিনল্যান্ড রাষ্ট্রীয় অর্থদাতা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মধ্যস্থতাকারী। বাংলাদেশ ১৯৯৬ সালের ২৮ অক্টোবর আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা চুক্তি স্বাক্ষর করে। চলতি বছরের ২১ মার্চ চুক্তিটি অনুসমর্থন করে এবং গত ৫ এপ্রিল জাতিসংঘ চুক্তির অনুসমর্থন প্রাপ্তির প্রজ্ঞাপন জারি করে। বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিটি গত ১ মে থেকে কার্যকর হয় এবং বাংলাদেশ এর ১৯ তম সদস্য।

স্বত্বাধিকারী: তানভীর সিনহা
সম্পাদক: মো. খালেদ রায়হান
যোগাযোগ: ক্যাম্পাস টাইমস
ঠিকানা: হাউজ ৬, রোড ১৪, সেক্টর ০৪, উত্তরা
যোগাযোগের নাম্বার: +৮৮০১৬৮৭২৮২৮২৬
ইমেইল: m.k.rayhan15@gmail.com