28340

শিক্ষা ক্যাডারে বৈষম্য নিরসন না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

শিক্ষা ক্যাডারে বৈষম্য নিরসন না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

2023-09-06 03:42:14

পদোন্নতি জটিলতা নিরসন, নতুন পদ সৃষ্টি, পে-স্কেল সমস্যার সমাধানসহ শিক্ষা ক্যাডারে নানা বৈষম্য দ্রুত নিরসনের দাবি জানিয়েছে সরকারি কলেজ শিক্ষকদের সংগঠন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। দ্রুত এসব সমস্যা সমাধান না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সমিতির নেতারা।

মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন সমিতির নেতারা।

সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, পদোন্নতিতে জটিলতা, নতুন পদ সৃষ্টি না হওয়া, অর্জিত ছুটির না দেওয়া, নতুন পে-স্কেলের সমস্যা সমাধান না হওয়ায় শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার। দ্রুত এসব সমস্যা সমাধান করতে হবে। না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব। অতীতেও আমরা ৮১ দিন কর্মবিরতি পালন করেছি। তবে আমরা শিক্ষায় কর্মবিরতির মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে জনবলের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। শিক্ষা ক্যাডারে প্রাপ্যতা অনুযায়ী কখনওই পদ সৃজন করা হয়নি। ২০১৪ সালে ১২ হাজার ৪৪৪টি পদ সৃজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ৯ বছরেও এ পদগুলো সৃজন হয়নি। ফলে দিন দিন বাড়ছে শিক্ষক সংকট। এর প্রভাব পড়ছে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থায়। কারণ শিক্ষক ছাড়া মানসম্মত শিক্ষা প্রদান সম্ভব নয়।

দ্রুত শিক্ষা ক্যাডারে বৈষম্য নিরসন করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য ক্যাডারে চাকরির ৫ বছর পূর্তিতে ৯ম গ্রেড থেকে ৬ষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতি দেওয়া হলেও শিক্ষা ক্যাডারে তা দেওয়া হচ্ছে না। অনেকেই একই পদে ৮-১৩ বছর ধরে কর্মরত। পদোন্নতি না হওয়ায় অনেকে সামাজিকভাবে অমর্যাদাকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। তাই পদ সৃজন না হলে সুপার নিউমারারি পদে পদোন্নতির দিয়ে ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবি জানাই।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির মহাসচিব মো. শওকত হোসেন মোল্যা।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষা ক্যাডার সৃষ্টি করা হলেও বিশেষায়িত পেশা হিসেবে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারকে গড়ে তোলা হয়নি। এ পেশাকে গ্রাস করছে অনভিজ্ঞ অপেশাদাররা।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ক্যাডারকে অবকাশমুক্ত করা জরুরি। বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা ছুটির ফাঁদে পড়েছে। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সপ্তাহে দুই দিন ছুটি ভোগ করে। আবার অবকাশ বিভাগ বিধায় অবকাশকালীন ছুটি বছরে ৫৫ দিন ভোগ করে। তাতে বছরের প্রায় ৫০ শতাংশ সময় ক্লাস বন্ধ থাকে। অন্যদিকে অর্জিত ছুটি পাওয়ার পক্ষে জোরালো যুক্তি থাকার পরও বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা।

 

স্বত্বাধিকারী: তানভীর সিনহা
সম্পাদক: মো. খালেদ রায়হান
যোগাযোগ: ক্যাম্পাস টাইমস
ঠিকানা: হাউজ ৬, রোড ১৪, সেক্টর ০৪, উত্তরা
যোগাযোগের নাম্বার: +৮৮০১৬৮৭২৮২৮২৬
ইমেইল: m.k.rayhan15@gmail.com