সকালের নাস্তায় ডিম রাখলে লাভ কতটা
2023-10-11 07:26:18
ঢাকা থেকে ট্রেনে চট্টগ্রাম যাচ্ছেন লুৎফর সাহেব। সেই ট্রেন একের পর এক স্টেশনে থামছে। ট্রেন থামতেই লুৎফর সাহেব শুনতে পান ‘এই ডিম ডিম ডিম, সেদ্ধ ডিম, মুরগির ডিম, হাঁসের ডিম। ট্রেনে বসে ফেরিওয়ালার এই ডাক শুনতে পাননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। শুধু কি ট্রেনের স্টেশন? এই ডাক শোনা যায়, বাস স্টেশন, লঞ্চঘাট, খেলার স্টেডিয়াম, হাট-বাজার আর রাস্তার পাশে। অফিস থেকে বাসায় ফিরতি পথেও অনেকে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে পুষ্টির জোগানদাতা সেদ্ধ ডিম খান। পুষ্টির অনেক বড় উত্স ডিম। আসুন জেনে নিন, ডিমের কিছু গুণের কথা-
১. পুষ্টিগুণে ভরপুর ডিমে আছে ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন ই এবং কে। ডিমের কুসুমে থাকে কোলিন। কোলিন মস্তিষ্কের বিকাশ এবং কার্যক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২. ডিম শরীরে দীর্ঘসময় শক্তি সঞ্চয় করতে সাহায্য করে এবং ক্ষুধা কমায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে ডিম খেতে পারেন। সকালের নাশতায় ডিম রাখুন। কারণ এই একটি ডিম সারা দিনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করবে।
৩. ডিমে ফলেট থাকে। ফলেট শরীরে নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে। গর্ভবতী মায়েদের জন্য ফলেট অনেক বেশি প্রয়োজন। ফলেট শিশুর জন্মগত ত্রুটি দূর করতে সহায়তা করে।
৪. ডিমকে মূলত আদর্শ প্রোটিন বলা হয়। কারণ, এতে আছে প্রয়োজনীয় উপাদান। শরীর গঠনে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া প্রোটিন বিভিন্ন অঙ্গ, ত্বক, চুল এবং শরীরের বিভিন্ন টিস্যু পুনর্গঠনে সহায়তা করে।
৫. ডিমের কুসুম ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-বি-এর খুবই ভালো উত্স। ভিটামিন-এ ত্বকের জন্য ভালো। ভিটামিন-বি শরীরে শক্তি যোগায়। এ ছাড়া ডিম চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
৬. ভিটামিন ডির একটি ভালো খাদ্য উৎস হচ্ছে ডিম। ভিটামিন ডি হাড় এবং দাঁত সুস্থ ও মজবুত করে। এ ছাড়া ডিম কিছু কিছু ক্যানসারের কোষ প্রতিরোধে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।