29782

ইবি কোষাধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাও, দাবি বেতন বৃদ্ধির

ইবি কোষাধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাও, দাবি বেতন বৃদ্ধির

2024-03-19 19:14:15

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কোষাধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাও করেছে দিনমজুর ভিত্তিক অস্থায়ী কর্মচারীরা। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে অবস্থান কর্মসূচি আরম্ভ করে তারা অন্তত তিন ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন। পরবর্তীতে তাদের প্রতিনিধিরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

উপাচার্য আসন্ন সিন্ডিকেটের পরবর্তী সিন্ডিকেটে উক্ত বিষয়টি উত্থাপন করার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন কর্মচারীরা। তবে তাদের দাবি আদায় না হলে আগামী ঈদের পর তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

আন্দোলনরত কর্মচারীদের দাবি, ২০২০ সালের অক্টোবরে সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় ন্যূনতম ৫০০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করে দেয়। তবে সেই নিয়মকে তোয়াক্কা না করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদেরকে নামমাত্র বেতন দিচ্ছে। বিধিতে উল্লেখিত জেলা ও উপজেলা এলাকায় শ্রমিকদের ধরন অনুযায়ী, সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত বেতন নির্ধারিত থাকলেও কর্তৃপক্ষ দিচ্ছে ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক ৫০০ ও তার বেশি টাকা দেওয়া হয়।

কর্মচারীরা বলেন, বিগত প্রশাসন আমাদের ৪০ শতাংশ বেতন বাড়ালেও তা সরকারি কাঠামোর চেয়ে অনেক কম। আমরা এখানে ১০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত কাজ করছি। এতে আমাদের যে টাকা দেয় তাতে সংসার চালানো অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এতো কম টাকায় কাজ করার কোনো নজির নেই। আমাদের এতদিন আশ্বাস দিয়ে থামিয়ে রাখা হয়েছে। আমাদের দাবি সরকারী কাঠামো অনুযায়ী, আমাদের বেতন দেওয়া হোক।

অস্থায়ী কর্মচারী মো. বাদশাহ মিয়া বলেন, আমরা অস্থায়ী কর্মচারী আছি ৬২ জন। প্রায় ৩০০ স্থায়ী কর্মচারী রিটায়ার্ড নিয়েছে যাদের কাজ এখন আমরা করি। তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের একটাই দাবি, আমাদের বেতন বৃদ্ধি করুন। অন্যথায় ঈদের পর আমরা লাগাতার আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

এদিকে থোক ভিত্তিতে নিয়োজিতদের মাসিক টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করতে গত বছরের ৪ এপ্রিল কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যদের কমিটি করেন উপাচার্য। তবে এ কমিটি প্রায় এক বছর পরেও এখনো কোনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি বলে জানা গেছে।

তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, ছয় মাস আগে দুইটি মিটিং হয়েছিল। সেখানে তাদের ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বেতন দেওয়া হবে বলে নির্ধারণ করা হয়েছিল। এটা একপ্রকার চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকেই ছিল। পরে আর বিষয়টি আর আগায়নি। তবে আহ্বায়ক আবার ডাকলে আমরা বসবো।

এ বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূইয়া বলেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিষয় না। স্ব স্ব দপ্তর তাদের দেখে। তারপরও কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবে দেখবে।

 

সম্পাদক: ইসমাঈল হোসাইন রাসেল
যোগাযোগ: ক্যাম্পাস টাইমস
৪৩ শহীদ নজরুল ইসলাম সড়ক, হাটখোলা রোড, চৌধুরী মল, টিকাটুলি, ঢাকা-১২০৩
মোবাইল: ০১৬২৫ ১৫৬৪৫৫
ইমেইল:[email protected]