31096

ইবিতে শিক্ষকদের অবাঞ্চিত টানানো বিতর্কিত ব্যানার সরালেন সমন্বয়করা

ইবিতে শিক্ষকদের অবাঞ্চিত টানানো বিতর্কিত ব্যানার সরালেন সমন্বয়করা

2024-09-12 15:03:09

সাকিব আসলাম, ইবি প্রতিনিধিঃ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কয়েকজন শিক্ষককে জুলাইয়ের গণহত্যা সমর্থন করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্চিত এবং ক্লাস থেকে বয়কট ঘোষণা করে রাতের অন্ধকারে ঝুলানো ব্যানার সরিয়ে ফেলেছে ইবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিষদের সদস্যরা। তবে এর আগে তিন শিক্ষকের নামের অংশ মুছে ও কেটে ফেলে সেসব বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি আবাসিক হল'সহ বিভিন্ন একাডেমিক ভবন, প্রশাসন ভবন এবং মেইন গেটে ঝুলানো এসব ব্যানার নামিয়ে তা আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন সমন্বয়ক পরিষদের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, প্রশাসন ভবন, পাঁচটি একাডেমিক ভবন এবং ৭ টি হলের সামনে ব্যানার টানানো ছিলো। এসময় ইংরেজি বিভাগের সাজ্জাদ হোসেন জাহিদ, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের মিঠুন বৈরাগী এবং সাংবাদিকতা বিভাগের তন্ময় সাহা জয়ের নামের অংশটি রঙের স্প্রে করে মুছে ও ব্লেড দিয়ে কেটে সরিয়ে ফেলছিলেন সেসব বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে সমন্বয়ক পরিষদের সদস্যরা বিষয়টি অবগত হলে তারাই উদ্যোগ নিয়ে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে টানানো ১৫ টি ব্যানার নামিয়ে ফেলেন। এরপর এসব ব্যানার একত্র করে মেইন গেইটে নিয়ে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল বলেন, কে বা কারা এই কাজটা করেছে সে সম্পর্কে সমন্বয়ক পরিষদ অবগত না। এটা যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে করা হয়েছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। স্বার্থান্বেষী মহল যে এই কাজ করেছে তা নিশ্চিত। কয়েকজন শিক্ষক যারা অনলাইনে অফলাইনে আমাদের সাথে যুক্ত ছিল খোঁজখবর নিয়েছে, তাদেরকেও এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এসব ব্যানারের মাধ্যমে শিক্ষকদের অবশ্যই অবমাননা করা হয়েছে।

শিক্ষককে অবমাননা বা লাঞ্চিত করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার কাছে যে তথ্য আছে সে মোতাবেক ইংরেজি বিভাগের সাজ্জাদ হোসেন স্যার অনলাইনে আমাদের সাথে যুক্ত ছিলেন। বিভিন্ন সময় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিয়েছেন। এছাড়া মিঠুন বৈরাগী স্যারের ব্যাপারেও আপত্তি এসেছে। পাশাপাশি জার্নালিজম বিভাগের তন্ময় স্যারের ব্যাপারে স্যারের শিক্ষার্থীরা ব্যানার থেকে তার নাম কেটে দিচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেহেতু শিক্ষকদের পক্ষে আছে সেক্ষেত্রে এটা অবশ্যই বিবেচনার বিষয়।

উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার সাথে জড়িত, জুলাইয়ের গণহত্যার সমর্থনকারী এবং আওয়ামীলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের একাংশ যাদেরকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও তাদেরকে ক্লাস থেকে বয়কট করা হলো লেখা সম্বলিত ৯ শিক্ষকের ছবি ও নামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ঝুলানো হয়। এতে ড. মো: মাহবুবুর রহমান, ড. মো: মাহবুবুল আরেফিন, ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, মো: শহিদুল ইসলাম, ড. মোহা. বাকি বিল্লাহ বিকুল, ড. ইয়াসমিন আরা সাথী ৬জন শিক্ষকের নামে ব্যতীত মো: সাজ্জাদ হোসাইন জাহিদ, মিঠুন বৈরাগী, তন্ময় সাহা জয় ৩জন শিক্ষকের নামের অংশ মুছে ও কেটে ফেলেন সেসব বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সম্পাদক: ইসমাঈল হোসাইন রাসেল
যোগাযোগ: ক্যাম্পাস টাইমস
৪৩ শহীদ নজরুল ইসলাম সড়ক, হাটখোলা রোড, চৌধুরী মল, টিকাটুলি, ঢাকা-১২০৩
মোবাইল: ০১৬২৫ ১৫৬৪৫৫
ইমেইল:[email protected]