3606

হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ

হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ

2017-11-20 02:15:11

দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ২০১৮ ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও চরম অসংগতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষমতাশীন দলের শিক্ষক সংগঠন ‘প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম’।

দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনের শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় ‘প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম’ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

‘প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম’ এর সহ-সভাপতি প্রফেসর ড.আনিস খান ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড.বলরাম রায় লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে নভেম্বর ৫ তারিখে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন অসংগতি পাওয়া যায়। যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করা হলেও প্রশাসন লিখিত আবেদনটি আমলে না নিয়ে তড়িঘড়ি করে ফলাফল প্রকাশ করে। ফলাফল প্রকাশের আগে ভর্তি কমিটি’র সভায় ফলাফল উপস্থাপন করা হলে কয়েকজন সদস্য অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে ফলাফল অধিকতর যাচাই-বাছাই করে ফল প্রকাশ করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম সদস্যদের মতামত উপেক্ষা করে ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি অনুষদের মধ্যে ৪টি অনুষদের ডিন এবং নির্দেশনা পরিচালকসহ উপাচার্য মনোনীত একজন রেজাল্ট শীটে স্বাক্ষর করেনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, সদস্যবৃন্দের ঐক্যমত ছাড়াই ফলাফল প্রকাশ একটি দূর্ভাগ্যজনক অধ্যায়। ভর্তি পরীক্ষায় সি-১ বাণিজ্য ইউনিটের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবং ওএমআর শীট এবং সিক্যুইন্স এ যথেষ্ট গড়মিল ছিলো। বেশ কিছু সি-১ বাণিজ্য ছাত্র-ছাত্রীর পরীক্ষা সি-৩ মানবিক ও বিজ্ঞান প্রশ্নপত্রে নেয়া হয়,যাতে বাণিজ্যিক ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের বাণিজ্য বিষয় সমূহে প্রশ্নপত্রে পায়নি।এতে পরীক্ষা হলে বাণিজ্যিক ছাত্র-ছাত্রীরা অভিযোগ করলেও তা আমলে নেয়নি কর্তৃপক্ষ।ভর্তি পরীক্ষা কমিটি’র এক চরম অব্যবস্থাপনায় অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী সঠিক ফলাফল থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করলে প্রায় সকল ইউনিটে ব্যাপক অনিয়ম পরিলক্ষিত হবে। এফ ইউনিটে দুই সিফটে পরীক্ষা হয়েছে এবং প্রত্যেক শিফটে প্রায় সমান সংখ্যক্ষক ছাত্র-ছাত্রী অংশ নিয়েছে। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এফ-১ প্রথম শিফটে ৪৭জন (শতকরা ১৫ ভাগ) এবং এফ-২ দ্বিতীয় শিফট থেকে ৩৬৩জন (শতকরা ৮৫ভাগ) পরীক্ষা মেধায় চান্স পেয়েছে। এমন ক্রটিপূর্ণ ফলাফল কোনক্রমেই জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য নয় বলে দাবি করেছেন সংবাদ সম্মেলন আয়োজকরা। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রশ্নপত্র ও সিটপ্লান প্রণয়ন করে বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেয়ার অভিযোগ তুলেছে “প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম”।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ‘প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম’ এর সহ-সভাপতি প্রফেসর ড.সাইফুর রহমান, সহ-সভাপতি প্রফেসর ড.এটিএম শরিফুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা.এসএম হারুন, সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো.নাজিম উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড.মো.মামুনুর রশীদ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ড. মো.ফেরদৌস মেহবুব।

কেএইচ/ ১৯ নভেম্বর ২০১৭

সম্পাদক: ইসমাঈল হোসাইন রাসেল
যোগাযোগ: ক্যাম্পাস টাইমস
৪৩ শহীদ নজরুল ইসলাম সড়ক, হাটখোলা রোড, চৌধুরী মল, টিকাটুলি, ঢাকা-১২০৩
মোবাইল: ০১৬২৫ ১৫৬৪৫৫
ইমেইল:[email protected]