
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাময়িক অব্যাহতি পাওয়া যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীর দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন, প্রমাণিত হলে জেলে যেতে রাজি তিনি। আজ বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গণমাধ্যমে এমন দাবি করেন তিনি।
এর আগে তাঁকে ১০টা থেকে সাড়ে সোয়া ১২টা পর্যন্ত দুদক কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এনসিপির সাবেক নেতা গাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘অভিযোগ অসত্য ও ভিত্তিহীন। এর কারণে আমাকে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে হেয় হতে হয়েছে। এ যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত।’
এনসিপির সাবেক এই নেতা বলেন, ‘গণমাধ্যমে এসেছে ১১০ কোটি টাকা, কাগজে ৪০০ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়, এটা হয় কীভাবে? কিছুদিন আগেও ২৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির বিষয়টি এসেছে। যে কোনো অ্যাঙ্গেলে এর হিসাব খতিয়ে দেখা উচিত। এর সঠিকভাবে তদন্ত হওয়া উচিত। অন্যদিকে ৬৪ জেলায় ডিসি নিয়োগ এটা একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়ে থাকে। যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তাহলে তাকে তো মহাশক্তিশালী হতে হবে।’
সাবেক এনসিপির এই নেতার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নামে-বেনামে অবৈধ সম্পর্ক অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। গত ১৫ মে তাঁকে দুদকে তলব করে চিঠি দেওয়া হয়। গত ২১ এপ্রিল এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিবের পদ থেকে গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় দলটি। চলতি বছরে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপানোর কাগজ কেনায় কমিশন বাণিজ্য নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে তাঁর নাম উঠে আসে।