প্রতিবাদে প্রক্টরের অফিসের সামনে কাওয়ালি গাইলেন শিক্ষার্থীরা


DU Correspondent | Published: 2022-01-13 11:00:55 BdST | Updated: 2024-05-02 17:28:22 BdST

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে আয়োজিত কাওয়ালির অনুষ্ঠানে হামলার প্রতিবাদে প্রক্টর অফিসের সামনেই কাওয়ালি গেয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) রাত ৮টায় ‘কুন ফায়া কুন’সহ বেশ কয়েকটি গান পরিবেশন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাওয়ালি ব্যান্ড ‘সিলসিলা’।

সিলসিলার প্রতিষ্ঠাতা লুৎফর রহমান বলেন, আমরা একটি অরাজনৈতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু সেখানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। আমরা এ হামলার বিচার চাই। এর প্রতিবাদে এখন থেকে নিয়মিত প্রতি বৃহস্পতিবার টিএসসিতে কাওয়ালি অনুষ্ঠান করব৷

কাওয়ালি অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক মোল্লা ফারুক বলেন, টিএসসিতে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকে প্রধান অতিথি না করলে কোনো অনুষ্ঠান হয় না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এ অনুষ্ঠানে তাকে প্রধান অতিথি করা হয়নি। ফলে তিনি এ হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। ক্যাম্পাসে প্রতিটি হামলার সঙ্গে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ জড়িত।

আরেক সমন্বয়ক জাহিদ আহসান বলেন, সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে সার্জেন্ট জহুরুল হক, জসিম উদ্দিনসহ বিভিন্ন হলের অন্তত ২০০ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন, দুই নারী শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে গেছে। তাদের ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে শুরু হয় এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কয়েকটি গান পরিবেশন হওয়ার পর সাড়ে ৬টার দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে।

আয়োজকদের অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা এ হামলা চালান। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

তবে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কেউই জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। অসৎ উদ্দেশ্যে এখানে ছাত্রলীগকে জড়িত করার চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, অনুষ্ঠানের আয়োজকদের মধ্যে মতবিরোধ ছিল। কোন তরিকায় প্রোগ্রামটা হবে, মেয়েরা উপস্থিত হতে পারবে কি না, হালাল, নাকি হারাম সেটি নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সেই দ্বন্দ্বে তাদের মধ্যে পূর্ব থেকে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হয়।

তবে তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে এ হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।