ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের র‍্যালি


Desk report | Published: 2023-10-19 14:57:07 BdST | Updated: 2024-05-03 17:35:42 BdST

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মুসলমান বাসিন্দাদের ওপর ইসরায়েলের চলমান গণহত্যা, হামলা ও আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে মানববন্ধন, র‌্যালি ও সংহতি সমাবেশ করেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণীর শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা কলেজের শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন তারা।

মানববন্ধন শেষে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মূল ফটক দিয়ে বের হয়ে মিরপুর সড়ক প্রদক্ষিণ করে নায়েম রোডে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’, ‘লাব্বাইক লাব্বাইক, লাব্বাইকা ইয়া আকসা’, ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ', ফিলিস্তিন মুক্তি পাক, ইসরাইল নিপাত যাক' বলে স্লোগান দিতে থাকেন।

এসব কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের ইহুদি সেনারা অবৈধভাবে ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণের ওপর চেপে বসেছে এবং নির্যাতন করছে। তারা নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতির নাজুক অবস্থা তৈরি করেছে।

নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। তাদের আগ্রাসন থেকে কেউ রক্ষা পাচ্ছেনা। অথচ মানবাধিকারের বুলি আওড়ানো কোন দেশ এসব বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিচ্ছে না। জাতিসংঘ আগ্রাসন রোধে ইসরায়েলকে বাধ্য করছেনা। উল্টো ইসরায়েলের পক্ষে বিবৃতি দিয়ে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করার পথ সুগম করছে।

জিহাদ হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আল-আকসা মুসলমানদের প্রথম কেবলা। সুতরাং এটি রক্ষা করতে নিজেদের জীবন দিয়ে হলেও আমরা চেষ্টা করবো। ঢাকা কলেজ থেকে আমরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাই এবং এমন বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

রবিউল ইসলাম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য। বাংলাদেশ সরকার ফিলিস্তিনে ওষুধসহ অন্যান্য সহায়তা কার্যক্রম পাঠানোর ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই করেছে। আমরা চাই আরো বৃহৎ পরিসরে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হোক। যাতে করে এই দুঃখ- দুর্দশায় ফিলিস্তিনের জনগণ ভেঙে না পড়েন। আমরা সবসময় তাদের পাশে রয়েছি।

গাজার সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে পশ্চিম তীরেও
হামাসের ‘শত শত স্থাপনা’ ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
জাতিসংঘ, ইউএনএইচসিআরসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনকে এই দুঃসময়ে ফিলিস্তিনের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে সফিউল ইসলাম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিষয়টি স্পষ্ট যে ইসরায়েল ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে শিশুদের হত্যা করছে। সারা বিশ্বে অসংখ্য মানবাধিকার সংগঠন মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করছে। অথচ ফিলিস্তিন ইস্যুতে তারা নিশ্চুপ। বিষয়টি অত্যন্ত হতাশাজনক।

তিনি বলেন, একটি খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হওয়া সত্ত্বেও ইসরাইলের অবরোধের কারণে গাজায় কোনো সহায়তা পৌঁছাতে দেওয়া হচ্ছে না। জরুরি পরিষেবা এমনকি হাসপাতালেও বিদ্যুৎ সঞ্চালনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়গুলো অত্যন্ত অমানবিক। তাই আমরা প্রত্যাশা করি দ্রুতই বিশ্ব নেতারা এই সংকটের অবসান ঘটাবেন।