গ্রাহকদের কাছে আরও সময় চাইলেন রাসেল


Dhaka | Published: 2021-07-17 06:14:49 BdST | Updated: 2024-03-28 23:54:28 BdST

ফেসবুক স্ট্যাটাসে ইভ্যালির কর্ণধার বললেন, ‘মিডিয়ায় অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে ক্রিমিনাল না বানিয়ে বিচার না করার অনুরোধ করতে পারি শুধু। আমি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্রুপ হতে যাচ্ছি। আমার হয়ত পুঁজি ঘাটতি। কেউ পুঁজি দিলেই কিন্ত কাল আমাকে সবাই হিরো বলত।’


কয়েকদিন ধরে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ইভ্যালির পণ্য ডেলিভারি ও সময়ক্ষেপণ নিয়ে আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে গত দুদিন ধরে ইভ্যালির প্রধান কার্যালয় বন্ধ। অনেক গ্রাহক তাদের অর্ডার করা পণ্য না পেয়ে ভিড় জমাচ্ছেন সেখানে। তবে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

এ প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার মোহাম্মদ রাসেল একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। শুক্রবার রাত ১০টায় তার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া পোস্টে তিনি গ্রাহকদের কাছে সময় চেয়েছেন।

মোহাম্মদ রাসেল তার পোস্টে বলেন, ‘ইভ্যালির পক্ষে-বিপক্ষে অনেক মতামত সোশ্যাল মিডিয়াতে পেয়েছি এবং দেখেছি। এতদিন ইভ্যালির যে লস, সেটা শুধুমাত্র বিজনেস ডেভেলপমেন্টের ইনভেস্টমেন্টে গিয়েছে। এখন ইভ্যালির অর্গানিক সেলস অনেক বেড়েছে। অনেকে এই সময় মতামত দিচ্ছেন, বন্ধ করে পুরাতন অর্ডার ডেলিভারি করা হোক।

‘কিন্ত এখন তো আমরা অগ্রিম টাকা পাই না। গত দুই সপ্তাহ কীভাবে তাহলে পুরাতন অর্ডার থেকে ৪০ কোটি টাকার অধিক ডেলিভারি করা হলো?

‘আমরা বড় বড় সেলারদের ৪ হাজার কোটির বেশি পেমেন্ট দিয়েছি। তারা আমাদের পাশে থাকতে চান। কিন্তু মিডিয়া অথবা সোশ্যাল মিডিয়া যখন ডেসটিনির মতো কোম্পানির সাথে তুলনা করেন, তখন যে কেউ ই ভয় পেয়ে যান। আমরা বিজনেস সবাই বুঝি। এটা একটা চলমান সম্পর্কে থাকার বিষয়। সেলস থাকলে সেলার থাকবে। এবং সেলার থাকলে পণ্য থাকবে।’

বিদেশি বিনিয়োগ বড় বাধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই বিজনেস ডেভেলপমেন্টে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল দেশি অথবা বিদেশি বিনিয়োগ। কেউ কি আমাকে দয়া করে কোনো আইনি ধারা উল্লেখ করতে পারেন, যেটি হয়তো আমার অজান্তেই মিস করে গেছি, যে কারণে আপনি বলতে পারেন ইভ্যালি অবৈধ?’

এ সংক্রান্ত আরও বিস্তারিত লিখবেন বলে জানান রাসেল।

তিনি লিখেছেন: ‘মিডিয়ায় অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে ক্রিমিনাল না বানিয়ে বিচার না করার অনুরোধ করতে পারি শুধু। আমি বাংলাদেশের সব বড় গ্রুপ এখন যাচ্ছি। আমার হয়তো পুঁজি ঘাটতি। কেউ পুঁজি দিলেই কিন্ত কাল আমাকে সবাই হিরো বলত।

‘যেই জিনিসটা ইভ্যালি অর্জন করতে চেয়েছিল, ইভ্যালির একদম সেটার দ্বারপ্রান্তে। এতো কিছুর পর নতুন নীতিমালার আলোকে ইভ্যালির সেলস ১০০ কোটি টাকা (পেইড)। এই সময় এসে গঠনমূলক অথবা পরামর্শমূলক আলোচনা অবশ্যই সবার উপকার হবে।’

এত অভিযোগের পরেও রাসেল ইভ্যালি নিয়ে আশাবাদী উল্লেখ করে বলেন, ‘ইভ্যালি নিয়ে আমি শতভাগ আশাবাদি। এবং এর চেয়েও বেশি আশাবাদি ইকমার্স নিয়ে। বিদেশি Amazon আসলে আমরা খুশি হব স্বাভাবিক। কিন্ত দেশের কেউ ইকমার্স লিড দিবে, এটা আমি শতভাগ নিশ্চিত। কারণ আমরা এখন সবচেয়ে দ্রুত উন্নয়নশীল জাতি। আমাদের একটু সময় দিন।’

//