
অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, সারা দেশে নিম্ন-আয়ের মানুষকে স্বল্প মূল্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান কর্মসূচি ওএমএস’র আওতায় আরও ৫ লাখ পরিবার বাড়িয়ে ৫৫ লাখ পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হবে। বছরে ৫ মাস থেকে বাড়িয়ে এ সহায়তা ৬ মাস দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বাসসের সাথে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান প্রতিবেদক দিদারুল আলম ও সচিবালয় প্রতিবেদক মোশতাক আহমদ।
এক প্রশ্নের উত্তরে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, টিসিবি স্থানীয় বাজার থেকে কিনে ভর্তুকি দিয়ে কম মূল্যে পণ্য সরবরাহ করে। আর মন্ত্রণালয় খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় (ওএমএস) এর 'খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি’ এর আওতায় সরকার চালে বড় ধরনের ভর্তুকি দিয়ে থাকে। এটি আমাদের সরবরাহের সব থেকে বড় আউটলেট। এতে এই অর্থবছর (২০২৪-২৫) পর্যন্ত ৫০ লাখ পরিবার বছরে পাঁচ মাস ৩০ কেজি করে চাল পান।
আগামী বছরের বাজেটের জন্যও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় এটি নির্দিষ্ট করা হয়ে গেছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পরিবারের সংখ্যা ৫০ লাখ থেকে ৫৫ লাখে ও সময় ছয় মাসে উন্নীত করা হচ্ছে।
বর্তমানে খাদ্য মজুতের অবস্থা কেমন,এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে খাদ্য মজুদেও তথ্য দেওয়া হচ্ছে। মজুদ সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। আজ সকাল পর্যন্ত চাল ও গমের মজুদ ছিল ১৪ লাখ ৬৫ হাজার ৩৫৫ টন। এরমধ্যে চাল ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৫ মেট্রিক টন এবং গম তিন লাখ ৫ হাজার ৮৮০ মেট্রিক টন। তিনি বলেন, আরো একটি গমের জাহাজ আসছে। গম কেনার জন্য টেন্ডারও দেওয়া হবে। কিছু চাল হয়তো আমদানি করতে হবে তবে এখনই নয়, আমরা চাল পরে আমদানি করব।’
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘চলতি মৌসুমে বোরো ধানের খুব ভালো ফলন হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য আছে ১৪ লাখ মেট্রিক টন চাল আভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সংগ্রহ করা এবং এটি সংগ্রহ করতে পারলে এখনই আমাদের বাইরে থেকে চাল আমদানি করতে হবে না। গতবার আমন ধানের ফলন ভালো না হওয়ায় আমাদের বাইরে থেকে চাল আনতে হয়েছিল।’
এবার আমন চালের ফলন ভালো তাই বাইরে থেকে চাল কেনার পরিমাণ কম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা।