
চলতি মে মাসের ১৭ দিনে দেশে ১৬১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এটি প্রবাসী কর্মীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রার একটি শক্তিশালী প্রবাহকে তুলে ধরে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশোধিত হালনাগাদ তথ্য থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহের এমন চিত্র উঠে এসেছে।
এতে দেখা যায়, এই সময়ের মধ্যে গড়ে প্রতিদিন ৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা ২০২৪ সালের মে মাসে রেকর্ড করা দৈনিক গড়ে ৭ কোটি ৫১ লাখ ডলারের চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি।
রেমিট্যান্সের উৎসের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৪৯ কোটি ৩৩ লাখ ডলার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে, যেখানে দুটি বিশেষায়িত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন (কৃষি) ব্যাংকের মাধ্যমে ১৫ কোটি ৯৯ লাখ ডলার পাঠানো হয়েছে।
বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে মোট ৯৬ কোটি ২৭ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩১ কোটি ৩০ ডলার। সমস্ত ব্যাংকের মধ্যে ইসলামী ব্যাংক সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ২৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার আহরণ করেছে।
২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ১৭ মে পর্যন্ত চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যে বাংলাদেশ রেকর্ড ২ হাজার ৬১৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। এই সংখ্যাটি পুরো ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রাপ্ত মোট ২ হাজার ৩৯১ কোটি ডলারকে ছাড়িয়ে গেছে।
প্রবাসীরা ইতোমধ্যেই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিলের মধ্যে ২ হাজার ৪৫৪ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন, যা আগের পূর্ণ অর্থবছরের পরিসংখ্যানকে ছাড়িয়ে গেছে। বিগত দশ মাসের মাসিক প্রবাহ ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির প্রতিফলন দেখা গেছে।
এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি ডলার, জুলাইতে ১৯১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহের ধারাবাহিক বৃদ্ধি বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করে চলেছে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।