
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা বাড়লেও দেশের বাজারে এই মুহূর্তে বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান। তিনি জানান, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। আপাতত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মুনাফা থেকে সমন্বয় করা হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিদ্যুৎ ভবনে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ পিএলসি এবং জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের মধ্যে ১০ বছর মেয়াদি গ্যাস সরবরাহ চুক্তি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
চুক্তি অনুযায়ী, জালালাবাদ গ্যাস লাফার্জহোলসিমকে আগামী ১০ বছরে দৈনিক ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস সরবরাহ করবে, যা আগামী বছরের ১৮ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘যুদ্ধের মধ্যে একটি তেলের জাহাজ বন্দরে এসেছে, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত মজুদ হাতে রয়েছে। আমাদের সুবিধা হচ্ছে সরবরাহকারীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে আসেন। সোর্স মধ্যপ্রাচ্য হলেও অনেক সরবরাহকারী রয়েছে যারা সিঙ্গাপুর থেকে, কেউ মালয়েশিয়ার মার্কেট থেকে সরবরাহ করেন।
সে কারণে তেলের সরবরাহ নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। তবু আমরা যুদ্ধের ওপর নজর রাখছি।’
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে সেখানে ভর্তুকি দেওয়া হবে কি না, এমন বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে বিপিসির মুনাফা থেকে তা পূরণ করা হবে। আপাতত জ্বালানি তেলে ভর্তুকি কিংবা দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।’