নির্দিষ্ট দিনেই মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা, প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান


ঢাকা | Published: 2021-03-12 02:16:24 BdST | Updated: 2024-03-29 18:47:08 BdST

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২ এপ্রিলেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হবে। ভর্তি-ইচ্ছুকদের পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখারও একটা বিষয় আছে। তাই পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৯টি কেন্দ্রের ৫৪টি ভেন্যুতে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে। পরীক্ষার ভেন্যুসংখ্যা বাড়তেও পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীসহ সারা দেশে আগামী ২ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর ১ লাখ ২২ হাজার ৭৬১ জন পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এ হিসাবে এ বছর আসনপ্রতি ২৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

প্রবেশপত্র কবে পাবেন শিক্ষার্থীরা
আগামী ২০ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মেডিকেল ভর্তির জন্য প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা ।

আসন বাড়ছে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তিতে ২৮২টি আসন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এই সিদ্ধান্ত ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকেই কার্যকর হবে।

পরীক্ষাপদ্ধতি ও মেধাতালিকা কীভাবে হবে
১০০ নম্বরের ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে শিক্ষার্থীদের । প্রতিটির প্রশ্নের মান ১। এমসিকিউ পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টায়। পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নে ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ১০ নম্বর (মোট ১০০) থাকবে।

লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। এর কম পেলে অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবেন। কেবল কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাতালিকাসহ ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ২০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হবে। লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।

মেডিকেল ভর্তি আগের নিয়মেই
এবারও আগের নিয়মেই ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। এ ক্ষেত্রে আবেদনের শর্ত এবং এসএসসি ও এইচএসসি জিপিএর ওপর ধার্য করা ২০০ নম্বরও কমানো হচ্ছে না। পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি পাস প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর এবং পূর্ববর্তী বছরের সরকারি মেডিকেল, ডেন্টাল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৭ দশমিক ৫ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।

//