সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাকরির পেছনে দৌড়াচ্ছে দেশের বেশিরভাগ তরুণ। স্থানীয়দের কর্মমুখী শিক্ষা ও দক্ষতার ঘাটতি থাকায় পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন খাতে কারিগরি উচ্চ পদে বিদেশীদের কদর বেশি।
উদ্যোক্তারা বলছেন, বেসরকারি খাতে সাধারণ শিক্ষার তুলনায় দরকার মানসম্পন্ন কারিগরি শিক্ষার।
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়া জনশক্তির ৯০ শতাংশই অদক্ষ, দেশের চাকরির বাজারের চিত্রও অনেকটা একইরকম। উন্নয়নশীল দেশের যে যাত্রা সেখানে সেবা ও শিল্পখাত থেকে ৯০ শতাংশ জিডিপির জন্য দরকার দক্ষ জনশক্তি যা তৈরি হচ্ছে না বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা।
তারা বলছেন, জনপ্রিয় কিছু বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ঝোঁক বেশি। অথচ অনেক উচ্চ পদে দরকার কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতদের।
পোশাক খাতে মানসম্পন্ন কারিগরি শিক্ষার উৎকর্ষতার লক্ষ্যে দেশে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে কলেজ থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে তরুণদের গড়ে তুলছে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইল।
পোশাক শিল্প মালিকদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি। আগে এটি ইন্সটিটিউট থাকলেও এখন নিজস্ব ক্যাম্পাসে পুরোপুরি বিশ্ববিদ্যালয়।
তারা বলছেন, প্রবৃদ্ধির ধারায় থাকা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পের চাহিদা মেটাতে বিশেষায়িত বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ বাড়াতে হবে। সেটা সম্ভব হলে চাকরির বাজারে বিদেশীদের জায়গায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে দেশের তরুণরা। সূত্র: চ্যানেল আই
টিআই/ ০৩ মে ২০১৮