স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে বাধা নেই জবির সেই ১০ শিক্ষার্থীর


Desk report | Published: 2022-09-22 18:58:37 BdST | Updated: 2024-04-20 08:10:29 BdST

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১১ শিক্ষার্থীকে গত ২৩শে মার্চ রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার ধুপখোলা এলাকার একটি মেসে মধ্যেরাতে অভিযান চালিয়ে শিবির সন্দেহে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। শিবির সন্দেহে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র বিরোধী অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ৯০ তম সিন্ডিকেটে তাদের উপর থেকে সেই বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এ আদেশ প্রত্যাহার করার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা স্বাভাবিকভাবে আগের মত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।

এ বহিষ্কার প্রত্যাহার আদেশ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘তাঁরা যেহেতু জামিনে রয়েছে, তাই তাঁদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিবির সন্দেহে আটক হওয়া জগন্নাথের শিক্ষার্থী ছিল ১১ জন। তাদের মধ্যে ১০ জন ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অনুমতির জন্য আবেদন করে। একজন যেহেতু আবেদন করেনি, তাই তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন যেহেতু তারা জামিনে আসছে আর তারা সকলেই আমাদের শিক্ষার্থী সেই বিবেচনা করে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর আদালত থেকে তারা এখনো দোষী প্রমানিত হয়নি তাই এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইব্রাহিম আলী, ইতিহাস বিভাগের ইসরাফিল হোসেন, লোক প্রশাসন বিভাগের মো. মেহেদী হাসান (মাহদী), হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মো. রওসন উল ফেরদৌস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মেহেদী হাসান, বাংলা বিভাগের শ্রাবণ ইসলাম রাহাত, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মো. ফাহাদ হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মো. ওবায়দুল ইসলাম, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মো. শাহিন ইসলাম ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের আব্দুর রহমান অলি।

এদিকে বাকি এক শিক্ষার্থী সঙ্গীত বিভাগের আল-মামুন রিপন তার প্রত্যাহার আদেশের আবেদন করতে বিলম্ব হওয়ার এ দশজনের সাথে তাদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা যায়নি বলে জানা গেছে।