অপর্যাপ্ত সুবিধা নিয়ে হলে উঠলো জাবির ৯০০ ছাত্রীরা


Desk report | Published: 2023-01-29 09:48:37 BdST | Updated: 2024-04-25 03:09:25 BdST

নেই ডাইনিং-ক্যান্টিন, গ্যাস সংযোগ। না আছে চেয়ার-টেবিল, লকার। এতোসব অপর্যাপ্ত সুবিধা নিয়েই নবনির্মিত ১০ তলা বিশিষ্ট একটি হলে উঠেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০০ ছাত্রী। অথচ প্রায় দুই বছর ধরে হল উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণাসহ মানসম্মত ব্যবস্থাপনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে প্রশাসন।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) লটারির মাধ্যমে আসন বরাদ্দের পর নবনির্মিত ১৮ নম্বর হলে উঠতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে শুক্রবার মধ্যরাতে নতুন হলে সিট বরাদ্দের দাবিতে উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান নেন ফজিলাতুন্নেচ্ছা হলের ছাত্রীরা। উপাচার্য এসে ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে হলে ওঠার দাবি মেনে নিলে আজ নতুন হলে ওঠেন তারা।

সরকার ও রাজনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী রিমু নওরীন বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে নতুন হলে উঠেছি। তবে এখানে শুধু বিদ্যুৎ সুবিধা ও একটি চৌকি রয়েছে। খাবারের জন্য ডাইনিং-ক্যান্টিন কিছুই নেই। চেয়ার, টেবিল ও ইন্টারনেট সুবিধাও নেই। এছাড়া চলাচলের জন্য মাত্র একটি লিফট চালু রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক তলায় গ্যাসের চুলা থাকার কথা থাকলেও নেই। এ ছাড়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য একটি করে উন্নতমানের শেল্ফ, চেয়ার, টেবিল ও লকার থাকার কথা ছিল। কমনরুম, ব্যায়ামাগার এবং গ্রন্থাগারও প্রস্তুত হয়নি।

আরেক শিক্ষার্থী তাসমিমা রহমান মীম বলেন, একটি মাত্র লিফট সচল থাকায় আমাদের মালামাল তুলতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। অনেকে সিঁড়ি বেয়ে এসব উপরে তুলেছেন। কোনো লকার না থাকায় মূল্যবান জিনিসপত্র কোথায় রাখব সে চিন্তায় আছি। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমাদের খাওয়া-দাওয়ার জন্য কোন ব্যবস্থা নেই এ হলে।

এ বিষয়ে ১৮ নম্বর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ছায়েদুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যেই হলে প্রায় ৯০০ ছাত্রী উঠেছে। বাদবাকিরা হয়তো আজকালেই উঠে যাবে। তাদের নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সেবার জন্য বিভিন্ন আবাসিক হলের প্রায় ৪০জন কর্মচারী রোববারের মধ্যেই কাজে যোগদান করবেন। পাশাপাশি হলের ওয়ার্ডেন, টিউটর ও হল সুপারসহ অন্যান্য জনশক্তি খুব শীঘ্রই পাওয়া যাবে। আপাতত গ্যাস সংযোগ না থাকায় খাবারে অসুবিধা হলেও মেনে নিতে হবে। আশা করছি ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

সার্বিক বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেন, হলের সুযোগ সুবিধা নিয়ে আমরা দ্রুত আলোচনায় বসবো। অসুবিধা দূর করতে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেগুলো শীঘ্রই বাস্তবায়ন হবে। লিফট হয়তো ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই পুরোদমে চলবে। চেয়ার টেবিলের জন্য আমাদের নতুন করে টেন্ডার দিতে হবে। প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শিক্ষার্থীরা পাঁচ মাসের মধ্যে চেয়ার, টেবিল ও লকার পাবে বলে আশা করছি।