বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শহীদ নাজমুল আহসান হলে শহীদ নাজমুল আহসান মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় শহীদ নাজমুল আহসান হল মাঠে ওই ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচটি শুরু হয়। ফাইনাল ম্যাচে শহীদ ইয়ামিন স্কোয়াড ও শহীদ তাহমিদ ওয়ারিয়র্স মুখোমুখি হয় এবং শহীদ ইয়ামিন স্কোয়াড বিজয় লাভ করে।
পরবর্তীতে বিকাল সাড়ে ৪টায় বিজয়ী ও রানার্স আপ দলের হাতে ট্রফি ও মেডেল তুলে দেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
জানা যায়, গত ৩ অক্টোবর ফুটবল টুর্নামেন্টটি শুরু হয়। টুর্নামেন্টে শহীদ নাজমুল আহসান হলের ৬টি দল অংশগ্রহণ করে
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী আশিক রায়হানের সঞ্চালনায় ও শহীদ নাজমুল আহসান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কাজী কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির ।
এসময় হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কাজী কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা খেলাটি সুন্দরভাবে শেষ করেছি এটাই আমাদের স্বার্থকতা। এই হলের একটা ঐতিহ্য ছিল যে হল থেকে শিক্ষক ও কৃতি শিক্ষার্থী বের হতো। এই ঐতিহ্যটা এখন নষ্ট হয়ে গেছে, আমি প্রভোস্ট হিসেবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সেই ঐতিহ্য আবারো ফিরিয়ে নিয়ে আসবো। হলের একটি বড় খেলার মাঠ বানানোর বিষয়টি আমরা দেখবো।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, আর দুটি কথা বলার পূর্বেই আমি শ্রদ্ধাবোনত চিত্তে স্মরণ করেছি যাদের জীবন দানের মাধ্যমে আমরা আজকের সহজ ও জুলুম মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছি। এটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ম, আনন্দ-ফুর্তি থাকবে কারো উপর কারো কর্তৃক থাকবে না, জুলুম থাকবে না। ছাত্ররা যুগে যুগে ৫২,৬৯,৭১ ও ২৪-এ গর্জে উঠে দেশকে শিকল মুক্ত করেছে। আমরা ক্লাসে দেখতেছি ভালো রেজাল্ট ধারী বেশির ভাগই মেয়ে। মেয়েদের এই অগ্রগতিতে আমি খুশি। কিন্তু আমি একজন ছেলে হওয়ায় বলতে চাই ছেলেদের আরো পড়াশোনা করতে হবে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ক্ষেত্রে ন্যায়নীতি যেন প্রতিষ্ঠা করতে পারি এই চেষ্টা করছি।