নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস্ এসোসিয়েশন অব চুয়াডাঙ্গার (ডুসাক) কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মোস্তফা ইকবাল হৃদয় এবং সাধারণ সম্পাদক পদে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের মো.মাহফুজ আহমেদ জয়ী হয়েছেন৷ হৃদয়ের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নুরনগর গ্রামে৷ মাহফুজের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নওদা দূর্গাপুর গ্রামে৷
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির মুনীর চৌধুরী অডিটোরিয়ামে ডুসাক কার্যনির্বাহী কমিটির এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ৷
নির্বাচনে সভাপতি পদে মোস্তফা ইকাবল হৃদয় পেয়েছেন ১৫১ ভোট৷ তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দী মো.ওয়াসির আল মাসতুর পেয়েছেন ৭৯ ভোট৷ আর সাধারন সম্পাদক পদে মো.মাহফুজ আহমেদ পেয়েছেন ১৩৬ ভোট আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী সালিম সাদমান সাদাত পেয়েছেন ৯২ ভোট৷
নবনির্বাচিত সভাপতি মোস্তফা ইকবাল হৃদয় বলেন, আমার উপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখায় ডুসাকের সকল সদস্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি এর আগে সর্বশেষ ডুসাকের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি৷ সংগঠনের মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা সহ নানা উদ্যোগ নিয়েছি৷ এবার সদস্যরা পুনরায় ভোট দিয়ে সভাপতি নির্বাচিত করায় আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেলো৷ আগামী দিনে সবাইকে সাথে নিয়ে ডুসাককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবো৷
নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আহমেদ বলেন,সুন্দর ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য আমি প্রথমেই ডুসাক সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। এই সাফল্য আমাদের সকলের ঐক্য, পরিশ্রম, ভ্রাতৃত্ব এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রতিশ্রুতির ফল। আমি ধন্যবাদ জানাই সকল সমর্থক এবং ভোটারদের, যারা আমার উপর আস্থা রেখেছেন। এই বিজয় আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং আমরা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।সামনের দিনে আমি সবাইকে নিয়ে ডুসাকের জন্য কাজ করে যেতে চাই।
ডুসাক কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন-২০২৪ এ প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মো. মহসিন কবির। সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, মোঃ আব্দুর রহমান জোয়ার্দার, জাহাঙ্গীর হোসন তাজ,মিথুন কুমার সাহা এবং এস. কে. তরিকুল ইসলাম। এছাড়া নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তানমুন ইসলাম।