বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেছেন, যে যতো যুবক তার দায়িত্বও ততো বেশি। আমাদের যতোটুকু সাধ্য ছিলো আমরা করেছি। এখন তোমাদের সময়। তোমরা হলে থাকবে স্বাচ্ছন্দ্যে, স্বাধীনভাবে। ভালো পরিবেশে পড়াশোনা করে তোমরা পৃথিবী জয় করবে। হলে ভালোভাবে থাকতে যা যা লাগবে বললে হল প্রশাসন সাধ্যমতো চেষ্টা করবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ফজলুল হক হল ইনডোর টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের একটি খারাপ বিষয় হলো শিক্ষার্থীরা ব্যাপক আকারে ইলেকট্রিক হিটার ব্যবহার করে। যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিমাসে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল দিতে হচ্ছে। হিটার দিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেরা রুমে রান্না করে খাওয়া-দাওয়া করে। আগে হলের ডাইনিংয়ে সমস্যা ছিলো, এখন তো নেই। সবাই মিলে ডাইনিংয়ে খাওয়া-দাওয়া করলে ডাইনিংও ভালো চলবে। রান্না করে সময় নষ্ট করার কোনো মানে নেই। হিটারগুলো হল থেকে সরাতে হবে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।
রবিবার( ১০ নভেম্বর) রাত ৮ টায় ফজলুল হক হলের কমন রুমে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হল প্রশাসন। এসময় ৬ টি ইভেন্টের বিজয়ী ও রানার্স আপদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
জানা যায়, টুর্নামেন্টে টেবিল টেনিস, কার্ড, লুডো,ক্যারাম, ডার্টস এবং দাবা খেলার আয়োজন করা হয়। ২৩ অক্টোবর থেকে শুরু হয় এই টুর্নামেন্ট। টেবিল টেনিসে বিজয়ী হোন কিরণ ও নাজিব, কার্ডে বিজয়ী হোন রাসেল ও রুহুল, লুডোয় বিজয়ী হোন তাহমিদ ও রাতুল, ক্যারামে বিজয়ী হোন কিরণ ও হিমেল, ডার্টসে বিজয়ী হোন করণ এবং দাবায় বিজয়ী হোন পলাশ। তিনটি খেলায় বিজয়ী হোন কিরণ।
ফজলুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম এবং বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার। এছাড়াও হলের হাউজ টিউটরবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।