স্বৈরাচারের মাস্টারমাইন্ড উল্লেখ করে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দেশ-বিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আমজনতার শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচির শেষের দিকে পুলিশের অতর্কিত হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে ওই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আছর নামাজের পর শিক্ষার্থীরা আব্দুল জব্বার মোড়ে জড়ো হন। পরে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হলে তারা প্রথমআলো পত্রিকা বয়কট ও ঘৃণা করে পায়ের নিচে রেখে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেন। পরে তারা প্রথমআলো পত্রিকা পুড়িয়ে দেন।
এসময় মো. মারুফ বিল্লাহ নামের শিক্ষার্থী বলেন, আপনারা সবাই জানেন এটা শুধু আজকে থেকে না অনেক আগে থেকেই প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কিভাবে দেশ বিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত ছিল। শুধু তারা স্বৈরাচারের দোসরই নয়, তারা অনেক আগে থেকে দেশ বিরোধী, দেশের বাইরে থেকে অনেক শক্তি বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থাৎ সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ অনেক কর্মকাণ্ডের সাথে লিপ্ত আছে। এছাড়াও তারা বিভিন্ন সময় ইসলাম বিদ্বেষ ছড়িয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের নাটক তৈরি করেছে। যে নাটকগুলো যারা পরিপূর্ণভাবে ইসলাম মানতে চায় তাদেরকে জঙ্গি প্রমাণ করার জন্য সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে এই প্রথম আলোই। প্রথম আলো শুধু এই দেশের শত্রু নয়, প্রথম আলো পুরো মুসলিম জাতির জন্য শত্রু। এই ইসলাম বিদ্বেষী প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারকে বয়কট করলাম এবং তাদের পত্রিকার উপর পা উঠিয়ে আমরা এর প্রতিবাদ জানালাম।
আরেক শিক্ষার্থী মো. আল আমিন বলেন, আজকের এই প্রতিবাদ সরাসরি প্রথম আলোর কোনো ক্ষতি নাও করতে পারে, তবে এটি তাদের পতনের সূচনা হতে পারে। এই প্রতিবাদ সমাজকে সচেতন করার একটি প্রয়াস। আমাদের সচেতন করতে হবে যে আমাদের শত্রু কারা। প্রথম আলো বিগত সরকারের আমলে তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যে ন্যারেটিভ প্রয়োজন ছিল, তা অত্যন্ত সুচারুভাবে তৈরি করেছে। একদিকে তারা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভূমিকা রেখেছে, অন্যদিকে আলেম-ওলামা ও ইসলামকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেছে। এর ফলে, আমরা দেখেছি বিগত সরকার ভারতের মদদপুষ্ট হয়ে ক্ষমতায় ছিল এবং দেশের মানুষের উপর স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করেছিল। এই প্রতিবাদের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণকে সচেতন করা যে প্রথম আলো আমাদের বন্ধু নয়। এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। প্রথম আলো চায় বাংলাদেশ সারাজীবন ভারতের দালালি করুক। এর প্রতিবাদ শুধু এখানেই নয়, সারাদেশে কথাবার্তা এবং আন্দোলনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে।কাওরান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই কর্মসূচিতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করেও পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে, যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। স্বৈরাচারী সরকারের আমলে এমন ঘটনা প্রত্যাশিত হলেও, বর্তমান সরকারের কাছে এ ধরনের আচরণ আমরা কামনা করি না। গনতান্ত্রিক অধিকার অনুযায়ী মানুষ তার ন্যায্য দাবি ও প্রতিবাদ জানানোর সুযোগ পাবে—এটাই আমরা আশা করি।