জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শহীদ নাজমুল আহসান হলে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা এবং বারবিকিউ পার্টি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭ টায় হলের সামনের মাঠে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হল প্রশাসন। নবীনদের বরণ উপলক্ষে হলের বাগানে আলো দিয়েও সাজানো হয়েছে।
শহীদ নাজমুল আহসান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কাজী কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং হাউজ টিউটর জেনারেল সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ইকরামুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. মিজানুর রহমান, এনএসি গ্রুপের বাংলাদেশ হেড অব বিজনেস আবুল হাসান মোস্তফা কামাল এবং এনএসি গ্রুপের হেড অব অপারেশন অব সিড ও হলের সাবেক ছাত্র সুলতান মাহমুদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রথমে কোরআন তেলাওয়াত এবং গীতা পাঠ করা হয়। এর আগে অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। পরে শহীদ নাজমুল আহসানের জীবনী তুলে ধরেন হলের হাউজ টিউটর ড. সবুজ রহমান। এছাড়াও তিনি হলের বিভিন্ন নিয়মকানুন তুলে ধরেন। এরপর নবীনরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। পরে নবীন বরণ শেষে আমন্ত্রিত অতিথি ও হলের শিক্ষার্থীদের জন্য বারবিকিউ পার্টি এবং সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, জীবনের প্রতিটি সময় গুরুত্বপূর্ণ। কৃষিবিদরা পিছিয়ে থাকবে এটা কাম্য নয়। সঠিক সময়ে পরীক্ষা নিয়ে ক্লাস শুরু করতে হবে। স্টার্টআপ ও ব্যবসায়ে দিকে মনোযোগী হতে হবে। তবে স্টার্টআপ করে বিশ্ব জয় করতে পারা যায়, বাকৃবির নবীনরা এদিকে লক্ষ্য রাখবে।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম বলেন, বাকৃবিতে র্যাগিং কালচারের কবর রচনা করা হয়েছে। কোনো ভাবে কোথাও র্যাগিংয়ের স্বীকার হলে আমাদের জানালে আমি তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিবো। শিষ্টাচারের নামে র্যাগিংয়ের কোনো জায়গা আর নেই। তবে মাদক আমরা পুরোপুরি নির্মূল করতে পারিনি। তবে নবাগতদের অনুরোধ করবো এ সকল কাজ থেকে বিরত থাকতে এবং যে সকল সিনিয়র আছেন তারা যাতে নিজেদেরকে সংযত করে মাদক সেবন থেকে দূরে থাকে।
প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কাজী কামরুল ইসলাম বলেন , আমি চেয়েছিলাম হল লাইফের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীরা যেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তিদের সাথে পরিচিত হতে পারে । এজন্য আমি চেষ্টা করেছি যারা এই হলের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন এবং বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করছেন, উদ্যোক্তা হয়েছেন বা গবেষণায় নিয়োজিত আছেন তাদেরকে একত্রিত করতে। শিক্ষার্থীদের যেকোনো প্রয়োজনে আমি সর্বদা তাদের পাশে আছি, যে কোন প্রয়োজন বা সমস্যা আমাকে জানালে আমি একদিনের মধ্যে তার ব্যবস্থা নিব।