ক্লাসে নয়, আন্দোলনে ব্যস্ত বেরোবি শিক্ষকরা


টাইমস প্রতিবেদক | Published: 2018-07-07 20:15:18 BdST | Updated: 2024-04-20 09:19:43 BdST

নিয়োগ-সংক্রান্ত আদালতের নির্দেশনা আর এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততার ব্লেম-গেইমে আবারো সংঘাতের ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। বরাবরের মতো এবারো এর কুশীলব, শিক্ষকদের পরস্পর দু'টি গ্রুপ। যাদের সবাই নিজেদের সরকার সমর্থক বলে দাবি করেন।

শুরু থেকেই সংঘাত-সংঘর্ষের সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা এসেছে শিক্ষকদের দিক থেকেই। যা সরকার দলীয় পরিচয়েই রয়েছেন শিক্ষকরা। এক দশকের কম সময়ের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর পর্যন্ত সেশন জটের কারণ কথায় কথায় শিক্ষকদের আন্দোলন।

একজন ছাত্র বলেন, শিক্ষকরা নিজেদের মধ্যেই নিজেরা কাঁদা ছোঁড়াছুড়িতে ব্যস্ত। ক্লাস পরীক্ষা থেকে মাঠেই তারা বেশি ব্যস্ত।’

একাই ২৬টি পদ ধরে রাখা, ক্যাম্পাসে নিয়মিত না থাকাসহ অনিয়ম-দুর্নীতি-স্বেচ্ছারের অভিযোগ উপাচার্যের বিরুদ্ধে। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমানের নিয়োগে অনিয়ম থাকায় তার পদে মাহমুদুল হককে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

নতুন করে শিক্ষক নিয়োগেও এসেছে নিষেধাজ্ঞা। আরেক দিকে শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি তুহিন ওয়াদুদের বিরুদ্ধে জামায়াতের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাগুলোর সমষ্টি নতুন শঙ্কা বলে ধারণা সবার।

একজন শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষক হিসেবে আমরা সেখানে গিয়েছি, তিনি কোনো সম্মান দেখাননি। সৌজন্যবোধও দেখাননি।’

কিন্তু সব ছাপিয়ে জঙ্গিবাদ দমনেই কঠোর অবস্থানের জানান দিলেন উপাচার্য। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল হাসান কলিমুল্লাহ বলেন, ‘প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যথোপযুক্ত ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করবো। কাউকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেব না। জঙ্গি দমনে জিরো টলারেন্স নীতি থাকবে।’

১৫২ জন শিক্ষকের প্রায় শতভাগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী দাবি করলেও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগত সুবিধা আদায়ই তাদের মূল-লক্ষ্য বলে অভিযোগ অনেকের। প্রায় এক দশকে ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর স্মারক ভাস্কর্য নির্মাণ শেষ না হওয়াই যার প্রমাণ বলে মনে করেন তারা। সূত্র: সময় টিভি।

টিআই/ ০৭ জুলাই ২০১৮