রাবি প্রক্টরের পদত্যাগ চান শিক্ষার্থীরা


Desk report | Published: 2022-01-05 03:26:35 BdST | Updated: 2024-04-25 11:47:30 BdST

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বারবার ছিনতাইয়ের ঘটনা ও ছিনতাইকারীদের শনাক্তে ব্যর্থ হওয়ায় প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি যদি অপরাধী শনাক্ত করতে না পারে সিসিটিভি ক্যামেরার কাজ নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন তারা। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে ১টার দিকে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এ মানববন্ধন আয়োজন করেন তারা।

এ সময় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদ সাকির সঞ্চালনায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সম্পাদক আমানুল্লাহ খান বলেন, শিক্ষার্থীরা নিরাপদে থাকতে পারে তার জন্য প্রক্টরিয়াল বডি দায়বদ্ধ। কিন্তু প্রক্টর জবাবদিহিতার জায়গাগুলো থেকে সরে এসে উল্টো শিক্ষার্থীদের ওপর দমনপীড়ন চালান। এই ক্যাম্পাসে প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জোহা স্যার ছাত্রদের নিরাপত্তা জন্য নিজের জীবন দিয়েছিলেন। আমরা অবিলম্বে বর্তমান এই প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করছি।

চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী মনমোহন বাপ্পা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে যেকোনো ঘটনা ঘটলে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয় যে, তোমরা সাবধান হও। প্রক্টরিয়াল বডি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা যদি না দিতে পারে তাহলে প্রক্টর থেকে লাভ কী? উপাচার্য বাস ভবনের সামনে ছিনতাই হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকার পরও ছিনতাইকারী শনাক্ত হচ্ছে না, তা দুঃখজনক।

রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা, প্রক্টর, পুলিশ রয়েছে এগুলো শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু আমরা দেখছি পুলিশ, সিসি ক্যামেরা, প্রক্টরিয়াল বডি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে না। তারা কাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে যে দিনের বেলায় ছিনতাইকারী ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে? প্রক্টরিয়াল বডি তাদের চিহ্নিত করতে পারছে না।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, এসব ছিনতাইকারীদের সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডি জড়িত। প্রক্টরিয়াল বডি একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়ে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। কোনো ঘটনা ঘটলে প্রক্টরের কাছে জানালে তারা বলে জিডি করো। তাদের কি কোনো দায়িত্ব নাই? এমন ব্যর্থ প্রক্টরের অবিলম্বে পদত্যাগ জানান তিনি।

ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ খান বলেন, যখন অপরাধের বিচার হয় না তখন অপরাধী বারবার অপরাধ করার সুযোগ পায়। ফলে তারা বারবার অপরাধ করে। যে জায়গায় জোহা স্যার ছাত্রদের নিরাপত্তা রক্ষার্থে জীবন দিয়েছেন। সেই জায়গায় বর্তমানের একজন প্রক্টর নিজে একটি নির্দেশনা দিয়ে বলেন যে, এমনি এমনি দিয়েছি এবং পরে সেটা প্রত্যাহার করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন চিত্রকলা প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আসফাক আহমেদ, ছাত্রমৈত্রীর রাবি শাখার আহবায়ক রনজু হাসান, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন চন্দ্র মোহন্ত, চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী মনমোহন বাপ্পাসহ বিভিন্ন বিভাগের অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী।

এর আগে, ৩১ ডিসেম্বর দুপুরে প্যারিস রোডে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মাইশা জান্নাত ছিনতাইয়ের শিকার হন। ৩ দিনের ব্যবধানে আবার উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় ছিনতাইয়ের শিকার হন গ্রাফিকস ডিজাইন বিভাগের উম্মে সালমা বৃষ্টি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এ সময়ের মধ্যে অন্তত ৫টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।