ভাড়া বাসায় রাবি ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু


RU Correspondent | Published: 2022-07-30 21:29:22 BdST | Updated: 2024-03-28 22:07:49 BdST

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাত ১২টার দিকে নগরীর ধরমপুর পূর্বপাড়ার একটি বাসা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম রিক্তা আক্তার (২১)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর জোতপাড়া গ্রামে।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর বলেন, ঘটনাটি শোনার পর পরই আমি মেডিকেলে গিয়েছিলাম। নিহতের মরদেহ পরবর্তী আইনি কার্যক্রমের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিহতের যেসব লক্ষণ আমরা দেখেছি তাতে এটিকে আত্মহত্যা মনে হয়নি। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা ময়নাতদন্তের পর বলতে পারব।

নিহত শিক্ষার্থীর সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের ইসতিয়াক রাব্বি নামে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। কলেজ থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা ব্যাচমেট ছিলেন। এক বছর ধরে তারা বাসা ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকছেন।

এদিকে নিহত রিক্তার স্বামীর বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আল-আমিন ইসলাম জানান, কয়েক দিন ধরে ওদের মধ্যে একটু ঝামেলা চলছিল। কাল বিকেলে রাব্বি আমাদের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়েছিল। এ সময় বলেছিল, ওর বউ নাকি অন্য একটা ছেলের সঙ্গে ফেক আইডি খুলে কথা বলে। এটা নিয়ে দুপুরে ওদের দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে।

 

আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো.হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, বিষয়টা শুনে আমি মেডিকেলে দেখতে যাই। আমি এই ঘটনার পুলিশি তদন্ত দাবি করছি। একজন শিক্ষার্থীর এমন অকালমৃত্যু কখনোই কাম্য নয়। নিহতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি বিভাগের পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জানান তিনি।

মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন জানান, রাত ১২টার দিকে নিহতের স্বামীসহ আরও কয়েকজন তাকে মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এখন মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। রিপোর্ট পেলে আসল ঘটনা জানা যাবে।

//