বাকি খাওয়া রাবি শিক্ষার্থীদের ১০ তারিখ পর্যন্ত সময় দিলেন বাবু ভাই


RU Correspondent | Published: 2023-01-03 04:36:53 BdST | Updated: 2024-03-28 22:50:32 BdST

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের বাকিতে খাইয়ে পথে বসেছেন মো. মানিক মিয়া (ওরফে বাবু ভাই)। বাকির টাকা না পাওয়াতে বাধ্য হয়ে ২২ বছর ধরে চলা দোকানটি গত বছর ২১ ডিসেম্বর হঠাৎ বন্ধ করে দেন তিনি। তবে নতুন বছরের শুরুতে বাকিতে খাওয়া শিক্ষার্থীদের নাম প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বাবু ভাই শিক্ষার্থীদের চলতি জানুযারির ১০ তারিখ পর্যন্ত বকেয়া টাকা পরিশোধের সময় দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করলে পরিচয়সহ বকেয়া টাকার পরিমাণ প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে একটি খাবারের দোকান চালাতেন মো. মানিক হোসেন (৩৩)। শিক্ষার্থীদের কাছে তিনি বাবু ভাই নামে পরিচিত। বাজারের টাকা না থাকায় নিরুপায় হয়ে গত ২১ ডিসেম্বর তিনি তার দোকানটি বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে দোকান বন্ধ হলেও দেনাদারদের অপেক্ষায় দোকানের আশেপাশেই সময় পার করছেন তিনি।

 

সোমবার (২ জানুয়ারি) সকালে মুঠোফোনে মানিক মিয়া বলেন, নতুন বছরে বাকিতে খাওয়া শিক্ষার্থীদের নাম, বকেয়া টাকার পরিমাণ প্রকাশের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কিছু বকেয়া টাকা পরিশোধ করেছেন। রোববার ও আজ সোমবার কয়েকজন শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতা ফোন দিয়েছেন। কেউ কেউ এসে দেখাও করেছেন। তবে সর্বোচ্চ বাকি রাখা শিক্ষার্থীরা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় চেয়েছেন। তারা নাম না প্রকাশ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

মানিক ২০০০ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে খাবারের দোকান চালিয়ে আসছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত পাঁচটি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা হলের ডাইনিংও ক্যান্টিনের বাইরে মানিকের দোকানে খেয়ে থাকেন। মানিকের বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মেহেরচণ্ডী এলাকায়। তার দোকানে ১০ থেকে ১২ জন কাজ করতেন। দোকান বন্ধ হওয়ায় তারাও কাজ হারিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের কাছে তার বাকি পড়েছে আড়াই লাখ টাকা। এসব শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ২৮ হাজার থেকে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা পর্যন্ত তিনি পাবেন। তাদের বেশিরভাগই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শায়খুল ইসলাম মামুন জিয়াদ বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে আমরা শফিকুলের সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষর্থীরা তার থেকে সময় নিয়েছে। আশা করি দ্রুত এটার সমাধান হয়ে যাবে।

//