পিএসজিকে হারিয়ে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের অনন্য ইতিহাস


ডেস্ক নিউজ | Published: 2025-06-20 12:33:56 BdST | Updated: 2025-07-10 04:21:56 BdST
সপ্তাহ তিনেক আগে মিউনিখে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ইন্তের মিলানোকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরার মুকুট নিজেদের মাথায় তোলে পারি সাঁ জার্মেই (পিএসজি)। লুইস এনরিকের দল নিজেদের দাপট টেনে এনে ছিল ক্লাব বিশ্বকাপেও। নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্প্যানিশ ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদকে বিধ্বস্ত করেছিল ৪-০ ব্যবধানে।
 
এমন আগুনে ফর্মে রীতিমতো উড়তে থাকা পিএসজিকে এবার মাটিতে নামিয়েছে বোতাফোগো। ক্লাব বিশ্বকাপের ম্যাচে আজ সকালে পিএসজিকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ব্রাজিলের ক্লাবটি।
 
অথচ চলতি মৌসুমে ব্রাজিলের ঘরোয়া লিগ সেরি আঁ-তে খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না বোতাফোগো। লিগে এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচ খেলে ৫ জয়ের বিপরীতে ৫টিতেই হেরে বসেছে রেনাতো পাইভার শিষ্যরা। ২০ দলের লিগে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৮ নম্বরে আছে বোতাফোগো। সেই দলটাই কিনা হারিয়ে দিল সদ্য ইউরোপ সেরার তকমা পাওয়া পিএসজিকে।
 
চলতি মৌসুমটা খারাপ গেলেও গত মৌসুমে কোপা লিবার্তাদোরেস জিতে ক্লাব বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে ব্রাজিলের ক্লাবটি।
 
ক্যালিফোর্নিয়ার রোস বোলে প্রায় ৫৪ হাজার দর্শকের সামনে আক্রমণ আর বল দখলে তেমন পাত্তাই পায়নি বোতাফোগে। ম্যাচের ৭৫ শতাংশ বলের দখল রাখা পিএসজির ১৬ শটের বিপরীতে বোতাফোগো শট নিতে পেরেছে ৪টি। উল্লেখ যোগ্য বিষয় হচ্ছে, পিএসজি যেখানে মোটে দুটি শট গোলমুখে রাখতে পেরেছিল, সেখানে বোতাফোগোর নেওয়া চার শটের চারটিই ছিল লক্ষ্যে। এর মধ্যে ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ইগোর জেসুসের শটটি আশ্রয় নেয় পিএসজির জালে।
 
মধ্যমাঠে কিছুটা জটলা থেকে বল কেড়ে নিয়ে মারলন ফ্রেইতাসকে পাস দিয়েছিলেন গ্রেগরি। ফ্রেইতাস বল বাড়ান মধ্যমাঠে থাকা জেফারসন সাভারানোর দিকে। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিজের শরীরটাকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে থ্রু বাড়ান সাভারিনো।
 
পিএসজির দুই ডিফেন্ডারের মধ্য থেকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠিক বক্সের বাইরে থেকে শট নেন জেসুস। ২৪ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারের শট পিএসজি ডিফেন্ডার উইলিয়ান পাচোর পায়ে লেগে কিছুটা দিক বদলে পোস্ট ঘেঁষে আশ্রয় নেয় জালে। চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না দোন্নারুম্মার।
 
জেসুসের ওই গোলটাই শেষ পর্যন্ত ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দেয়। পিএসজি যে চেষ্টা চালায়নি, এমন নয়। কিন্তু বোতাফোগোর জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারেননি ভিতিনিয়া-দেজিরে দুয়েরা। তাতে শেষ পর্যন্ত হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় এনরিকের দলকে।