চমেক ছাত্রাবাসে মারামারি: এবার পাল্টা মামলায় আসামি ১২ শিক্ষার্থী


Chittagong | Published: 2020-08-28 04:28:18 BdST | Updated: 2024-05-02 19:08:03 BdST

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারির ঘটনায় ১২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত মামলা গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সফি উদ্দিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন চমেকের ডেন্টাল বিভাগের ছাত্র অনির্বান দে।

চমেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের বলয়ে বিভক্ত। গত ২৪ আগস্ট নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী চমেকের ডেন্টাল বিভাগের ছাত্র শাওন দত্ত বাদী হয়ে ১১ জন ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত নাছিরের অনুসারী ২৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর নাছিরের অনুসারী অনির্বান দে’র দায়ের করা পাল্টা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে শাওন দত্তকে। মামলার অন্য আসামিরাও নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন— চমেকের এমবিবিএস পঞ্চম বর্ষের ছাত্র ওবায়েদুল হক (২৪), মিনহাজ উদ্দীন জিম (২৪), শাহরিয়ার ইসলাম ইমন (২৪), কাজী সরওয়ার ফারুকী (২৪), বুলবুল আহমেদ (২৪) ও মাহমুদুল হাসান সৈকত (২৪), চতুর্থ বর্ষের মুশফিকুল ইসলাম আরাফ (২৩) ও রিয়াজুল ইসলাম জয় (২৩), তৃতীয় বর্ষের অভিজিৎ দাশ (২৩) ও আতাউল্লাহ বোখারি (২২) এবং দ্বিতীয় বর্ষের সুমিত চক্রবর্তী (২২)।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, গত ১৩ আগস্ট দুপুর ১টার দিকে চমেকের ছাত্রাবাসে ইন্টার্ন ডাক্তার আব্দুস সামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফেরার পথে অভিযুক্তরা তার ওপর লোহার রড, লাঠিসোটা, হকিস্টিক নিয়ে হামলা করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। হামলার সময় অভিযুক্তরা তার পকেট থেকে একটি মোবাইল ও ৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। সুস্থ হওয়ার পর তিনি থানায় গেলেও পুলিশ মামলা না নেওয়ায় আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বলে আরজিতে উল্লেখ করেছেন।

বাদীর আইনজীবী চন্দন বিশ্বাস বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের একজন ছাত্রের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত মামলা গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে ১৯ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।’

গত ১৩ আগস্ট দুপুরে নগরীর চকবাজার থানার চট্টেশ্বরী সড়কে চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারি হয়। পরে চমেক কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ছাত্রাবাস বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে হামলা পাল্টা হামলার পর ১৪ আগস্ট সকাল থেকে চমেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা সেবা বন্ধ করে দেন। অন্যদিকে নগরীর চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়েরের পর নওফেলের অনুসারী ১১ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন।

এর আগে, গত ১২ জুলাই চমেক ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারিতে কমপক্ষে ১৩ জন আহত হন। এরপর নওফেলের অনুসারী চমেক ছাত্রলীগের নেতা খোরশেদুল আলম বাদী হয়ে ১১ চিকিৎসকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।