বাবালীগে পরিণত হয়েছে মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ


Manikganj | Published: 2021-02-12 19:54:19 BdST | Updated: 2024-03-29 21:29:25 BdST

মেয়ের বাবা ও অছাত্রদের দিয়ে চলছে মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম। ফলে সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ছে। সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, ৫ বছর পূর্বে ২০১৭ সালের ১৩ মার্চ কাজী রাজু আহম্মেদ বুলবুলকে সভাপতি এবং আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য ছয় সদস্যবিশিষ্ট জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এক বছরের কমিটি পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও মানিকগঞ্জ জেলায় দীর্ঘদিন ধরে জেলা ছাত্রলীগ কোনো সম্মেলন না হওয়ায় সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।

এতে জেলা ছাত্রলীগলের রাজনীতি নেতৃত্ববিহীন হয়ে পড়েছে। কিছু সংখ্যক ছাত্রনেতা পদ প্রত্যাশী হয়ে দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখলেও দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন না হওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। মেয়াদোত্তীর্ণ জেলার ছাত্র সংগঠনের বর্তমান কমিটির পদপদবিধারী অধিকাংশ নেতার ছাত্রত্ব নেই।

সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী রাজু আহামেদ বুলবুল ৩ বছর আগে ধুমধাম আনুষ্ঠানিকতা করে বিয়ে করেন। তাঁর এক মেয়ে রয়েছে। সাংগঠনিক সস্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদের নেতারাই বিয়ে করে সাংসারিক কাজে ব্যস্ত রয়েছে। তারা এখন চাকরি, ব্যবসাবাণিজ্য, ঠিকাদারি ও সংসার নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে দলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির ছাত্রনেতারা নেতৃত্বে থাকার ফলে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর বিশ্বাস ও আস্থা হারিয়ে ফেলছেন। পদ পাওয়ার আশায় শীর্ষ নেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছে অনেক ছাত্রনেতা।

তবে মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের একজন সম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থী নাম প্রকাশ না করে জানান, বর্তমান কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদের কমপক্ষে সভাপতিসহ একাধিক নেতা বিয়ে করেছেন। বেশির ভাগের সন্তানও আছে। ৭০-৮০ জন নেতার ছাত্রত্ব নেই। দলের নেতা-কর্মীরা অনেকবার দাবি করার পরও নতুন কমিটি হচ্ছে না। এই কমিটির নেতারা সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন না। এতে তৃণমূল নেতাকর্মীরা চরম ক্ষুব্ধ।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ২৭ বছর বয়সী যেকোনো ছাত্র বা ছাত্রী ছাত্রলীগের সদস্য হতে পারবেন। তবে গত ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানোর ঘোষণা দেন। অর্থাৎ বর্তমানে ২৯ বছর বয়সী ছাত্রছাত্রীরাই ছাত্রলীগের কমিটিতে সদস্য হতে পারবেন। বিবাহিত ব্যক্তিদের বিষয়ে গঠনতন্ত্রে কিছু বলা নেই। তবে শেখ হাসিনার নির্দেশের কারণে বিবাহিত ব্যক্তিদের কোনো পদে না রাখা অলিখিত নিয়ম বলেই মনে করা হয় ছাত্রলীগে।

এবিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন,খুব দ্রুতই মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙ্গে দ্রুত নতুন কমিটি করে দিবো, সভাপতি বিবাহিত এটা শুনেছি। তিনি বলেন, কমিটিও মেয়াদ শেষ, ফলে সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ছে। দ্রুতই নতুনদের হাতে কমিটি তুলে দেওয়া হবে। এছাড়াও যে সব জেলায় কমিটি মেয়াদীর্ত্তীর্ণ হয়ে পড়েছে, পুরনো মেয়াদর্ত্তীর্ণ কমিটি ভেঙ্গে, সেসব জেলায় দ্রুত নতুনদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হবে।।

সূত্র: আমাদের দিন

//