ইউএনওর বাসভবনে অস্ত্রসহ প্রবেশ, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার


Munshignaj | Published: 2021-08-30 03:36:39 BdST | Updated: 2024-03-28 22:47:59 BdST

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনে অস্ত্রসহ প্রবেশকালে আনসারদের হাতে আটক হয়েছেন ছাত্রলীগের গজারিয়া উপজেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন ও অটোচালক আল হাসান।

দুজনের বিরুদ্ধেই দস্যুতা ৩৯২ ধারার আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গজারিয়া থানার অফিসার মো রইছ উদ্দিন।

শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনে প্রবেশ করে ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন (২৩) ও অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া অটোচালক আল হাসান (১৪)। গ্রেফতারকৃত ছাত্রলীগ নেতা নাসিরুদ্দিন হোসেন্দী ইউনিয়নের আশ্রাফদী গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে। একই এলাকার আল হাসান প্রবাসী আলালের ছেলে।

ঘটনার বিবরণে থানা সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনে হামলার উদ্দেশে প্রবেশ করে ছাত্রলীগ নেতা নাসির উদ্দিন ও অটোচালক আল হাসান। বাসভবনের ভেতরে হামলার সময় তাদেরকে আটক করে ফেলে দায়িত্বে থাকা আনসার বাহিনী। পরে তল্লাশি চালিয়ে নাসিরের কাছ থেকে ধারালে বিদেশী সেভেন গিয়ার অস্ত্র পায় তারা। পরে নাসির উদ্দিন ও আল হাসানকে আটক করে গজারিয়া তদন্ত কেন্দ্রে হস্তান্তর করে দায়িত্বরত আনসার।

হোসেন্দী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি রিফাত হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত ছাত্রলীগ নেতা নাসির উদ্দিন হোসেন্দী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। অস্ত্রসহ নাসির উদ্দিনকে গ্রেফতার করার সংবাদটি শুনে আমি ব্যক্তিগতভাবে লজ্জিত। আমার কমিটিতে এই ধরনের সদস্য প্রত্যাশা করি না।

ছাত্রলীগ নেতা নাসির উদ্দিনের মা জানান, তার ছেলে মানুষের কথা শুনে। টাকার জন্য সে সবকিছু করতে পারে।

অপরদিকে স্থানীয়রা জানায়, ছাত্রলীগ নেতা নাসির উদ্দিন একজন মাদকাসক্ত। সে প্রায়ই নেশার টাকার জন্য তার বাবাকে মারধর করে।

গজারিয়া থানার ওসি মো. রইছ উদ্দিন জানান, একটি ধারালো অস্ত্রসহ আটক নাসির উদ্দিন ও আল হাসনের বিরুদ্ধে দস্যুতা ৩৯২ ধারায় মামলা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী জানান, রাত ৮টার সময় সংরক্ষিত বাসভবনের ভেতরে প্রবেশকালে দায়িত্বরত আনসার বাহিনীর সদস্যরা তাকে চেক করে। চেক করার সময় তার কাছ থেকে ধারালো অস্ত্র পায়। দুজনকেই গজারিয়া থানার দায়িত্বরত অফিসার ইনচার্জের কাছে দেওয়া হয়েছে।

//