চব্বিশের আন্দোলন প্রায় ২ হাজার শহীদ ও হাজারো শিক্ষার্থী-জনতার পঙ্গুত্ব বরণ ও আহত হওয়ার বিনিময়ে সফলতা এসেছে। এই সফলতার মূল স্পিরিট হলো বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ ও স্বাধীনতা ভোগ করা বলে মন্তব্য করেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।
নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, এই সফলতার জন্য প্রথম ত্যাগী আবু সাইদ। আমরা সকলেই এই আন্দোলনের সামনে ছিলাম। শিবির মেধাবীদের সংগঠন। যে শিবির করবে সৎ, দক্ষ, যোগ্য হবে। ছাত্রশিবির রাজনীতি চর্চা করে না। ছাত্রদের সাথে নিয়ে কাজ করতে চায়।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সাড়ে ১০ টার দিকে কুষ্টিয়া জেলার শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নয় শতাধিক শিক্ষার্থীদের বরণ নেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রশিবির সংগঠনটি। অনুষ্ঠানটির ইবি ছাত্র শিবির সেক্রেটারি মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী ঘোষণা করেন জুলাই বিপ্লবের শহীদ আবদুল্লাহ আল মোস্তাকিমের পিতা লোকমান হোসাইন।
এসময় ইবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি এইচ এম আবু মুসার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক মোহাম্মদ সোহাইল। এছাড়াও ইবি বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ও কুষ্টিয়া জেলার জামাতে আমীর অধ্যাপক আবুল হাসেম সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী।
এসময় জামাতে আমীর অধ্যাপক আবুল হাসেম নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জ্ঞান দুই ধরনের। একটা হলো বস্তুবাদী আরেকটা পরকালের। দুইটা জ্ঞানের সমন্বয় করে যদি তোমরা এগিয়ে যেতে পারো তখন উভয়কালে সফল হতে পারবে। বস্তুবাদী জ্ঞান অর্জন মানুষকে দুর্নীতি, ক্ষমতালোভী ও নৈতিকতা বিপর্যয় কাজে ধাবিত করে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক মোহাম্মদ সোহাইল বলেন, শিবির একটি রাজনৈতিক সংগঠন না, এটি একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। যেখানে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও নৈতিক গুণাবলি অর্জনে সমন্বিতরূপে কাজ করে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদেরকে দাসত্ব শেখায়। আজকের মেধাবী নবীন শিক্ষার্থীদের হাত ধরেই জাতি সেই গোলামী থেকে রেহাই পাবে।