শাবিপ্রবি উপাচার্যের বক্তব্য ‘মিথ্যাচার’ ও ‘মনগড়া’


SUST Correspondent | Published: 2022-02-17 09:48:43 BdST | Updated: 2024-04-25 03:37:18 BdST

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের দেওয়া বক্তব্যকে ‘মনগড়া’ ও ‘মিথ্যাচার’ উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।

এর আগে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেছিলেন, ‘কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি, এখনো করছি না, ভবিষ্যতেও করবো না। সত্য এবং ন্যায়ের পথে থাকবো। আজ সত্য এবং ন্যায়ের বিজয় হয়েছে। সত্য এবং ন্যায় টিকে আছে। মিথ্যা পরাভূত হয়েছে।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬ জানুয়ারির ঘটনার এক মাস পূর্তিতে শিক্ষার্থীরা কিছুই ভুলেননি। ‘শিক্ষার্থীদের সব দাবির ব্যাপারে অতি শিগগির যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে’ শিক্ষামন্ত্রীর এমন ঘোষণায় আমরা আপাতত আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি। কিন্তু আমাদের শরীরে লাঠি, বুলেট, বোমার আঘাত, জখম, ঝরা রক্ত আমাদের মনে অক্ষয় শক্তির যোগান দিয়ে অঙ্গার হয়ে জ্বলছে। তার পতন না হলে এই অঙ্গার অপ্রতিরোধ্য দাবানলে পরিণত হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবগুলো দাবির ব্যাপারেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন সুস্পষ্ট আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আপাতত আন্দোলন স্থগিত করেছে। কিছুদিন আগেই শিক্ষার্থীদের দ্বারা ক্যাম্পাসে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষিত উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ যদি ভেবে থাকেন যে তিনি যা ইচ্ছা তাই বলতে পারবেন তবে বিরাট ভুল করছেন। সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা প্রায় মাসব্যাপী অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে অভূতপূর্ব আন্দোলন চালিয়েছে তার যৌক্তিকতা, ন্যায্যতা ও নৈতিক ভিত্তি কিছু দালাল ও চাটুকার ব্যতীত সারা দেশে সর্বজনস্বীকৃত বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।

সেখানে তারা আরও বলেন, শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গোটা জাতির কাছে সত্য হচ্ছে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর বিনা উস্কানিতে আপনার নির্দেশে পুলিশের নিষ্ঠুর হামলা, অসংখ্য আহত শিক্ষার্থীর আর্তনাদ, আমাদের সতীর্থ সজল কুণ্ডুর শরীরের ৮০টিরও বেশি স্প্লিন্টার, ২৮টি ছেলে মেয়ের মরণপণ অনশন।

এছাড়া ঘটনার একমাস পূর্তিতে অবিলম্বে উপাচার্যকে অপসারণ করতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।