রাজকুমারী লতিফা ‘জীবিত’ কি না এখনো জানে না জাতিসংঘ


ঢাকা | Published: 2021-03-06 16:56:35 BdST | Updated: 2024-04-20 08:51:45 BdST

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মেদ বিন রশিদ আল মাকতুমের মেয়ে রাজকুমারী লতিফা আল মাকতুম জীবিত আছেন কি না, সেই বিষয়ে দেশটির কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো তথ্য দেয়নি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। আজ শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় এই তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, ওই তথ্যের জন্য তারা অপেক্ষা করছে।

গত মাসে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসির বিশেষ অনুষ্ঠান বিবিসি প্যানোরামার হাতে লতিফার কয়েকটি ভিডিও আসে। একটি ভিডিওতে লতিফাকে বলতে শোনা যায়, নৌকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় কমান্ডোরা তাঁকে আটক করেন এবং আবারও আটককেন্দ্রে নিয়ে যান। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর লতিফার বন্ধুরা তাঁর মুক্তির ব্যবস্থা করতে পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ভিডিওগুলোর সত্যতা ও সেগুলো ধারণের অবস্থান পরে স্বাধীনভাবে নিশ্চিত করে বিবিসির বিশেষ অনুষ্ঠান প্যানোরামা।

ওই ভিডিও প্রকাশের পর জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় লতিফার বিষয়ে তথ্য চেয়েছিল আমিরাত সরকারের কাছে।

লতিফার বাবা শেখ মোহাম্মেদ বিন রশিদ আল মাকতুম বিশ্বের ধনী শাসকদের একজন। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্টও। ২০১৮ সালের মার্চে নৌকায় করে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় লতিফাকে আটক করে নিয়ে যান আমিরাতের সেনারা। এরপর থেকে তাঁকে আর জনসক্ষমে দেখা যায়নি।

লতিফার বিষয়ে সম্প্রতি জেনেভায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের কূটনৈতিক মিশনের সঙ্গে কথা বলেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের কার্যালয়। আজ কার্যালয়ের মুখপাত্র রুপার্ট কোলভিল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা জেনেভায় ইউএই সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কিন্তু এই বিষয়ে কোনো অগ্রগতির তথ্য আমাদের কাছে নেই।’ লতিফা বেঁচে আছেন কি না, সেই বিষয়ে কোনো তথ্য পেয়েছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কোলভিল বলেন, ‘না, এখনো পাইনি।’

পরিবারের ‘নির্যাতনের’ মুখে ২০১৮ সালে সাগর পাড়ি দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন লতিফা। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে তিনি ধরা পড়ে যান। ওই ঘটনা সারা বিশ্বে আলোচনার জন্ম দেয়। এ ছাড়া আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নারী অধিকারের বিষয়টি আবারও সামনে চলে আসে।

আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর বন্দী অবস্থায় কয়েক মাস ধরে নিজের ফোনে গোপনে ভিডিওগুলো রেকর্ড করেন লতিফা। শৌচাগারের ভেতরে ভিডিওগুলো রেকর্ড করা হয়। কারণ, একমাত্র শৌচাগারের দরজাই বন্ধ করার সুযোগ রয়েছে। বাসভবনটি কঠোর নিরাপত্তায় মোড়ানো।