যুদ্ধবিরতি পরে, আগে আমার এলাকা থেকে সেনা সরাও, ইউক্রেনকে রাশিয়া


ডেস্ক নিউজ | Published: 2025-05-17 20:29:19 BdST | Updated: 2025-06-14 07:07:19 BdST

যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে রাশিয়ার দাবি করা চারটি এলাকা থেকে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে সরে যেতে বলেছে মস্কো। ইউক্রেনের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গত বৃহস্পতিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনায় বসেছিলেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। সেখানে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয়েছে বলে ইউক্রেনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনের আরও ভূখণ্ড ছাড় দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে।’

ইস্তাম্বুলের আলোচনায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো পক্ষই সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি। তবে বন্দি বিনিময়ে একটি চুক্তি করেছে দুই পক্ষ।

আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভকে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তার দাবি অনুযায়ী আলোচনায় তোলা শর্তগুলো নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। পেসকভ বলেন, আলোচনা ‘রুদ্ধদ্বার’ হওয়াই শ্রেয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউক্রেনের ওই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানানা, কোনো লিখিত শর্ত না দেখিয়ে রুশ প্রতিনিধিরা কয়েকটি মৌখিক শর্ত উপস্থাপন করেছিলেন। শর্তগুলো হচ্ছে— 

দনেৎস্ক, জাপোরিঝঝিয়া, খেরসন ও লুহানস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। তারপর যুদ্ধবিরতি আলোচনা হতে পারে। এই অঞ্চলগুলোর কিছু অংশ এখনও ইউক্রেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাবে এমন কোনো দাবি ছিল না।

ক্রিমিয়া, দনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলকে আন্তর্জাতিকভাবে রাশিয়ার ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের খসড়ায় কেবল ক্রিমিয়াকে আইনগত স্বীকৃতি এবং বাকি অঞ্চলগুলোকে প্রকৃতপক্ষে রুশ নিয়ন্ত্রণাধীন বলে মেনে নেওয়ার প্রস্তাব ছিল।

ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে হবে, যাতে দেশটির মাটিতে গণবিধ্বংসী অস্ত্র না থাকে এবং কিয়েভের মিত্ররা সেখানে কোনো সেনা মোতায়েন করতে না পারে। যুক্তরাষ্ট্রের খসড়ায় এই বিষয়টি ছিল না।

সব পক্ষ যুদ্ধজনিত ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি পরিত্যাগ করবে। অথচ মার্কিন খসড়ায় ইউক্রেনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।

ইউক্রেন আগেই দাবি করেছে, রাশিয়ার আলোচনার অবস্থান থেকেই বোঝা যায়, তারা প্রকৃত অর্থে শান্তিতে আগ্রহী নয়।