
গ্রেটা থানবার্গসহ ত্রাণবাহী জাহাজ ‘ম্যাডলিন’ থেকে আটক ১২ মানবাধিকার কর্মীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গ্রেটা ছাড়াও জাহাজটিতে আরও ১১ জন মানবাধিকার কর্মী আছেন। তাঁরা হলেন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক ও ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য রিমা হাসান, জার্মানির ইয়াসেমিন আচার, ফ্রান্সের ব্যাপতিস্ত আন্দ্রে, ব্রাজিলের থিয়াগো আভিলা, ফ্রান্সের ওমর ফায়াদ, পাস্কাল মৌরিয়েরাস, ইয়ানিস মোহামদি, তুরস্কের সুলাইব ওর্দু, স্পেনের সার্জিও তোরিবিও, নেদারল্যান্ডসের মার্কো ফন রেনেস ও ফ্রান্সের রিভা ভিয়া।
গাজায় ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য খাবার নিয়ে এসেছিল ম্যাডলিন। জাহাজটি পরিচালনা করছে আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)। কিন্তু এটিকে ভিড়তে দেয়নি ইসরায়েল। ইতালি থেকে আসার সময় আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকেই জাহাজটিকে ইসরায়েলের আশদাদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, জাহাজটিতে থাকা ফরাসিদের অতিদ্রুত ফ্রান্সে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ করেছেন ইমানুয়েল মাঁখো। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় ত্রাণের জাহাজ আটকের নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এফএফসির এ উদ্যোগকে ‘সেলফি ইয়াট’ বলে অবিহিত করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডেভিড মানসের এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, আটক ১২ মানবাধিকার কর্মীকে পর্যাপ্ত খাবার ও পানি দেওয়া হয়েছে।
গত ২ মার্চ থেকে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। এমন অবস্থায় অনাহারে ভুগে অনেক শিশু মারা যায়। ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ‘ম্যাডলিন’ নামের এ জাহাজ গত ১ জুন ইতালির সিসিলির কাতানিয়া শহর থেকে যাত্রা শুরু করে।
বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থার হিসাব অনুসারে, গাজার ২৩ লাখের বেশি বাসিন্দার মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ তীব্র মাত্রায় খাদ্যসংকটে ভুগছেন।
ফ্রি ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গাজার মানুষের জন্য অত্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে যে-সব সহায়তা দরকার, সেগুলো বহন করছে জাহাজটি। এর মধ্যে আছে চিকিৎসার সরঞ্জাম, ময়দা, চাল, শিশুদের দুধ (বেবি ফরমুলা), ডায়াপার, নারীদের স্যানিটারি পণ্য, পানি বিশুদ্ধকরণ কিট, ক্রাচ ও শিশুদের কৃত্রিম অঙ্গ।