
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক ও সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকিকে লাঞ্ছনার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মোবারক হোসেন নোমানকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত ২৩১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় সিন্ডিকেটের সব সদস্য ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানান। প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত ও সাক্ষ্য–প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং স্নাতক ডিগ্রির সনদপত্র সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। বিষয়টি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধি অনুযায়ী হত্যাচেষ্টার মামলা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বিধি অনুসারে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ রেখে তিন সদস্যের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা গভীর রাতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন। তাঁরা অভিযুক্ত ছাত্রকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। আহত শিক্ষক হাসান মাহমুদ সাকিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে স্থানান্তর করে সিটি মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক মো. নাজমুস সাদাত বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তির পরিপন্থী। আমরা ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি এবং দোষীকে চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না।’
উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।