আশ্বাস বাস্তবায়ন হয়নি, পিএসসি সংস্কার দাবিতে ফের বিক্ষোভের ঘোষণা


নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা | Published: 2025-05-07 17:57:32 BdST | Updated: 2025-06-01 13:51:54 BdST

৪৬তম বিসিএসের প্রশ্নফাঁস ও পরীক্ষার স্থগিতাদেশের পর সংস্কারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ফের বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে পিএসসি সংস্কার আন্দোলনকারীরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হবে। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজেও কর্মসূচি পালনের ডাক দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (৭ মে) বিকেল সাড়ে তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৭ এপ্রিল ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার পর আন্দোলনকারীদের অনশন ভাঙানো হয় সংস্কারের আশ্বাস দিয়ে। একইদিন আট দফা দাবির আলোকে একটি সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা আসে। যার নেতৃত্বে থাকার কথা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের। ওইদিন আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তার বৈঠকের কথাও জানানো হয়েছিল।

তবে এর পরেও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় নতুন করে কর্মসূচিতে যাচ্ছে আন্দোলনকারীরা। ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘শুধু পরীক্ষা স্থগিত আর আশ্বাস দিয়ে আমাদের থামানো যাবে না। বাস্তবায়ন না হলে আন্দোলন চলবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘লিখিত ও প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পূর্ণ নম্বর প্রকাশ না করায় চাকরিপ্রার্থীরা বাদ পড়ার কারণ জানতে পারছেন না। প্রাক-যাচাই প্রক্রিয়ায় প্রভাবশালী প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, যা স্বচ্ছতা পরিপন্থী। এতে প্রকৃত মেধাবীরা শুরু থেকেই বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।’

আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতি বিসিএস পরীক্ষার জন্য এক বছরের মধ্যে প্রক্রিয়া শেষ করার রোডম্যাপ প্রণয়ন, কমপক্ষে দুই মাস আগে পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ এবং ফলাফল প্রকাশে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া গেজেট আটকে রাখার ক্ষেত্রে কোনো অস্পষ্ট অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয় এবং সেখানে আপিলের সুযোগ থাকতে হবে।

বিজ্ঞাপন

তারা আরও বলেন, ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার আগে প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত না হলে এবং নির্ধারিত সময়সূচি ঘোষণা না হলে ওই পরীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। এছাড়া জুনের মধ্যে ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ ও জুলাইয়ে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আয়োজনের দাবিও জানান তারা।

পিএসসি সংস্কার আন্দোলনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ৪৫তম বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ১০০তে উন্নীত করা, লিখিত ফলাফল জুনে প্রকাশ এবং ভাইভার আগে ক্যাডার পুনর্বাছাইয়ের সুযোগ চালুর প্রস্তাব রয়েছে। খাতা মূল্যায়নে স্বচ্ছতা আনতে কমিশনের উপস্থিতিতে খাতা দেখার ব্যবস্থার কথাও বলেন তারা।

বক্তারা বলেন, প্রশ্নফাঁস সংক্রান্ত রিট হাইকোর্ট খারিজ করলেও এখন পর্যন্ত প্রকৃত অপরাধীদের বিচার হয়নি। সিআইডির তদন্তে গড়িমসি থাকায় পরীক্ষার নিয়ন্ত্রণ পিএসসির অভ্যন্তরীণ সিন্ডিকেটের হাতে থেকে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।