
লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা শেষে প্রায় চার মাস পর দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সঙ্গে ফিরেছেন তাঁর দুই পুত্রবধূও। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪১ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বিমানবন্দরে চেয়ারপারসনকে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত। বিমাবন্দর গেট থেকে বাইরের সড়ক পর্যন্ত তাঁকে স্বাগত জানাতে নেতা–কর্মীদের উপচে পড়া ভিড়। হাত নেড়ে, স্লোগানে দলীয় চেয়ারপারসনকে বরণ করছেন তাঁরা।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ছাড়ে কাতার আমিরের দেওয়া বিএনপি চেয়ারপারসনকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানান তাঁর ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
লন্ডন থেকে ঢাকা আসার পথে কাতারের রাজধানী দোহায় যাত্রাবিরতি দেন খালেদা জিয়া ও তাঁর সফরসঙ্গীরা। বিরতি শেষে মঙ্গলবার ভোর ৬টা ৫ মিনিটে ফের ঢাকার পথে রওনা হন তাঁরা। বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত পুরো পথে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীদের।
খালেদা জিয়াকে বরণ করে নিতে আজ সকাল থেকেই দলের নেতা–কর্মীরা বিমানবন্দর এলাকায় আসতে শুরু করেন। দলীয় ও জাতীয় পতাকা হাতে, সঙ্গে ব্যানার–ফেস্টুন নিয়ে এসেছেন তাঁরা। দিচ্ছেন নানা স্লোগান। বাস বা অন্য যানবাহনে বিমানবন্দরে পৌঁছাচ্ছেন বিএনপি নেতা–কর্মীরা। এতে ওই এলাকায় যানবাহনের চাপও বেড়েছে।
এদিকে যানজট ও জনদুর্ভোগ এড়াতে খালেদা জিয়ার গাড়ির আশপাশে ভিড় না জমাতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার বিষয়েও ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি।
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ নানা রোগের উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। পরে ২৫ জানুয়ারি থেকে তিনি তাঁর ছেলে তারেক রহমানের বাসায় লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ পর্যন্ত পথে পথে বিএনপি চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাবেন নেতা–কর্মীরা। বিএনপি ও এর বিভিন্ন সংগঠনের নেতা–কর্মীর মধ্যে কারা কোথায় অবস্থান নেবেন এবং তাঁদের করণীয় বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।