কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচনে ভোট চলছে অস্ট্রেলিয়ায়। আজ শনিবার দেশটিতে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। ট্রাম্পের শুল্কারোপ ও জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির মধ্যেই হচ্ছে নির্বাচন। দেশটির ৪৮তম এই সংসদ নির্বাচনে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের ১৫০ আসনের সবকটিতে এবং সিনেটের ৭৬ আসনের ৪০ টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের নেতৃত্বে বর্তমান লেবার পার্টি সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। অপরদিকে পিটার ডাটনের নেতৃত্বাধীন লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশন এক মেয়াদ বিরোধী দলে থাকার পর আবারও সরকার গঠনের চেষ্টা করছে।
বিজ্ঞাপন
সাম্প্রতিক জরিপগুলো বলছে, আলবানিজের বামপন্থী লেবার পার্টিকে দুই-দলীয় পছন্দের ভিত্তিতে রক্ষণশীল বিরোধী দলের চেয়ে সামান্য এগিয়ে। জীবনযাত্রার ব্যয় ও ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বিষয়টি জরিপকে প্রভাবিত করেছে।
আলবেনিজ নবায়নযোগ্য জ্বালানি চালু, ক্রমবর্ধমান আবাসন সংকট মোকাবিলা এবং স্বাস্থ্যসেবায় অর্থ বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ৬২ বছর বয়সী আলবানিজ ৫৪ বছর বয়সী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা পিটার ডাটনের নেতৃত্বে ডানপন্থী জোটের অধীনে ‘সরকারি ব্যয় সংকোচন ও বিশৃঙ্খলা’ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন।
ডাটন অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসী কমানো, অপরাধ দমন এবং পারমাণবিক শক্তির ওপর দীর্ঘস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চান।
ভোটাভুটি নিয়ে কোনো জটিলতা না হলে আজ শনিবার রাতেই ফলাফল আসতে পারে।
বিজ্ঞাপন
লিবারেল পার্টির নেতা ডাটন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, শনিবার রাতে আসনভেদে অনেক চমক হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে আমি এমন কোনো অস্ট্রেলীয়কে দেখিনি, যিনি বলেছেন তারা তিন বছর আগের তুলনায় বর্তমানে ভালো আছেন।’
নির্বাচনের জন্য মোট এক কোটি ৮১ লাখ ভোটার তাদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। নির্বাচন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের এক তৃতীয়াংশের বেশি ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন।
১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী সব অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকের জন্য ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। ভোট না দিলে ২০ অস্ট্রেলীয় ডলার (১৩ মার্কিন ডলার) জরিমানা দিতে হয়। এ কারণে নির্বাচনে ৯০ শতাংশের বেশি ভোটার অংশ নেন।
