ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জ অংশে ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতির চেষ্টা চালানোর অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তিনটি দেশীয় ধারাল অস্ত্র। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, ধৃতরা সকলে পেশাদার ডাকাত এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার দুপুর থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন—পটুয়াখালীর ফজর আলীর ছেলে মো. কামাল ওরফে ‘সিএনজি কামাল’, খলিল সরদারের ছেলে ইসমাঈল সরদার, শাহ আলম মোল্লার ছেলে রাসেল মোল্লা এবং মাদারীপুরের কাঞ্চন বেপারীর ছেলে রমজান বেপারী ও সারোয়ার হোসেনের ছেলে লিমন মাতব্বর।
পুলিশ জানায়, ডাকাতির সময় ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সেখান থেকেই তাদের শনাক্ত করা হয়। এরা সবাই ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকায় ভাড়া থাকত এবং সেখান থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে গিয়ে ডাকাতি করত।
বুধবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সামছুল আলম সরকার। তিনি বলেন, এরা প্রত্যেকেই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য এবং একাধিক মামলার আসামি। তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা প্রক্রিয়াধীন। চক্রের আরও এক সদস্যকে ধরতে অভিযান চলছে।
গত সোমবার রাত ২টার দিকে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর এলাকায় এক্সপ্রেসওয়েতে ডাকাতির চেষ্টা চালায় একটি দল। তারা আগেই সার্ভিস লেনে ব্যারিকেড বসিয়ে রাখে। গাড়িটি সামনে এলে কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাতে হামলার চেষ্টা করে। তবে চালকের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে গাড়িটি দ্রুত ব্যাকগিয়ারে পেছনে চলে যায় এবং যাত্রীরা অল্পের জন্য রক্ষা পান। ঘটনাটি গাড়ির ড্যাশক্যামেরায় ধরা পড়ে এবং পরে সামাজিক মাধ্যমে তা ভাইরাল হয়।
বিজ্ঞাপন
ভিডিওতে দেখা যায়, ডাকাতরা ব্যারিকেডের পাশেই ওঁত পেতে ছিল। গাড়িটি থামার সঙ্গে সঙ্গে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এগিয়ে আসে। এ সময় যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং আরেক দল ডাকাত গাড়ির দিকে কিছু নিক্ষেপ করে। এসব দৃশ্য ড্যাশক্যামেরায় স্পষ্টভাবে রেকর্ড হয়।
