যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলে রাতে খাবারের সঙ্গে ২০টি ঘুমের ওষুধ খাওয়ান মেয়ে। এরপর অচেতন অবস্থায় বাবা আব্দুস সাত্তারকে (৫৬) কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন মেয়ে (২৩)। আটক অভিযুক্ত মেয়ের বরাত দিয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির।
সাভার পৌর এলাকার মজিদপুরের কাঠালবাগান মহল্লায় আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় ও পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ভোররাতের দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করেন শিফা নামে ওই নারী। ফোন করে তিনি তার বাবাকে কুপিয়ে হত্যার কথা জানান। পরে পুলিশ মজিদপুরের কাঠালবাগান মহল্লায় গিয়ে তাদের ভাড়া বাসা থেকে শিফার বাবা আব্দুস সাত্তারের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশ অভিযুক্ত শিফাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং মরদেহটি সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
প্রাথমিকভাবে আটক অভিযুক্ত মেয়ের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা শাহীনুর কবির আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে বাবা আব্দুস সাত্তার মেয়ে জান্নাত জাহান শিফাকে যৌন নির্যাতন করে আসছিল। এর আগেও নাটোরের সিংড়া থানায় মেয়ের দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় তিনি জেল খেটেছেন। সম্প্রতি সাভারের ভাড়া বাসায় মেয়ের সঙ্গে পুনরায় বসবাস শুরু করে মেয়েকে আবারও যৌননির্যাতন শুরু করেন। গেল রাতে খাবারের সঙ্গে ২০টি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ভোর রাতে বাবা আব্দুস সাত্তারকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন মেয়ে নিজেই।
