মুন্সিগঞ্জে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের একটি অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় এক গর্ভবতী নারীকে ঢাকায় নিয়ে আসার পথে একই পরিবারের চারজনসহ এই পাঁচজন নিহত হন। এতে শিশুসহ আরও ছয়জন আহত হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মুন্সিগঞ্জের নিমতলায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে এই দুর্ঘটনায় ।
বিজ্ঞাপন
নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের চারজন হলেন- মাদারীপুর সদরের মিঠাপুর এলাকার সামাদ ফকির (৪০), বিল্লাল (৪০), আফসানা (২০) ও সামাদ (৫০)। এ ছাড়া নিহত আরেকজন গাড়ির চালক মাহাবুব। তিনি মাদারীপুরের দুধখালি এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথে সিরাজদিখানের নিমতলা এলাকায় চাকা পাংচার হয়ে বিকল হয়ে যায়। এসময় মহাসড়কের পাশে থেমে ঠিক করার সময় ‘গোল্ডেন লাইন পরিবহন’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে অ্যাম্বুলেন্সকে ধাক্কা দেয়। এসময় দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সের আরোহীদেরও চাপা দেয়। এতে বাসের চাপায় এক নারী আরোহী ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন অনেকে।
সংবাদ পেয়ে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ জানান, গুরুতর আহতদের দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হয়।
বিজ্ঞাপন
এদিকে দুপুর আড়াইটার দিকে মুমূর্ষ অবস্থায় তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে নারীসহ ওই চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক। তিনি জানান, মরদেহগুলো হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, নিহত নারীর মরদেহ থানায় রয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
