
পিএসসি সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। কলাভবন ও রাজু ভাষ্কর্য প্রদক্ষিণ শেষে শাহবাগে গিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন তারা।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আগামী সোমবারের (১২ মে) মধ্যে সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কাঠামো ও আট দফা দাবির বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রকাশ না হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, “পিএসসি ও সরকারকে আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই—পরীক্ষার্থীরা প্রয়োজনে রাজপথে নামতে প্রস্তুত। চাইলে আজই শাহবাগ অবরোধ করা যেত, কিন্তু এখনো আমরা আলোচনার সুযোগ রাখছি।”
তিনি বলেন, “গত ১৭ এপ্রিল পিএসসি চেয়ারম্যান ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে আলোচনার পর ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। তখন জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে। যদিও ফাওজুল কবির খানকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, তবুও প্রশ্নফাঁসসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এখনো কাউকে জবাবদিহির আওতায় আনা হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “কমিশনের পুরোনো সিন্ডিকেট ভাঙা যায়নি। যান্ত্রিক ও হয়রানিমূলক প্রাক-যাচাই প্রক্রিয়ার সংস্কার চাই। পাশাপাশি ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার নতুন তারিখ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে।”
আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ, জাহাঙ্গীরনগর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিপ্রার্থীরা।
আন্দোলনকারীদের আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
- বিসিএস পরীক্ষা এক বছরে শেষ করা।
- প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার নম্বর ও রুটিন আগেই প্রকাশ।
- ভেরিফিকেশনে হয়রানি বন্ধ ও প্রাক-যাচাই বাতিল।
- গেজেট আটকে রাখলে কারণ ব্যাখ্যা ও আপিলের সুযোগ রাখা।
- নন-ক্যাডার বিধি সংশোধন করে ভাইভা উত্তীর্ণদের চাকরি নিশ্চিত করা।
- ৪৬তম বিসিএসে প্রশ্নফাঁসকারীদের শাস্তি ও বাতিল না হওয়ার নিশ্চয়তা।
- ৪৪তম বিসিএসের ফল জুনে এবং ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা জুলাইয়ে নেওয়া।
- ৪৫তম বিসিএসে ভাইভা নম্বর ১০০ করা এবং ফল প্রকাশ ২০২৫ সালের মধ্যে নিশ্চিত করা। ভাইভার আগে পুনরায় ক্যাডার পছন্দের সুযোগ ও খাতা দেখা কমিশনের ভেতরে করার দাবিও রয়েছে তাদের।