নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি ঢাবি সাদা দলের


DU Correspondent | Published: 2023-11-09 17:03:07 BdST | Updated: 2024-05-04 02:02:55 BdST

নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সাদা দল।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে তারা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সব নেতাকর্মীর মুক্তি, গণগ্রেফতার বন্ধের দাবি জানান।

সাদা দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন দলটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান।

সভাপতির বক্তব্যে সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যদি জনগণের ভাষা বুঝতে না পারেন, তাহলে আমরা মনে করি জনগণের দাবির কাছে, গণআন্দোলনের কাছে আপনাদের পদত্যাগ করতেই হবে। হয় জনগণের আন্দোলনের মুখে নতি স্বীকার করে পদত্যাগ করবেন, অন্যথায় এদেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নিয়ে বিদেশি মহল যে উদ্বেগ ব্যক্ত করেছে, তাদের চাপেও হয়তো আপনাদের পদত্যাগ করতে হবে। অন্যদিকে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা এবং বাজার মূল্য, সবকিছু বিবেচনা করলে, হয়তো একদিন দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়েও আপনাদের পদত্যাগ করতে হতে পারে। সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, আপনারা পদত্যাগ করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। আমরা আপনাদের কাছ থেকে সেই সৎ সাহস প্রত্যাশা করি।

সংগঠনটির সাবেক আহ্বায়ক প্রফেসর এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, দেশে এখন চরম ফ্যাসিস্ট সরকারের দুঃশাসন চলছে। ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংসতম সরকার এখন দেশ চালাচ্ছে। জাতি এর অবসান চায়। ২৮ অক্টোবরের ঘটনা সরকারের সাজানো, তারা নিজেরা গাড়ি পুড়িয়েছে। বর্তমান সরকার যে কোনো উপায়ে আন্দোলন নস্যাৎ করতে চায়। সারা দেশটাকে সরকার এখন কারাগারে পরিণত করেছে।

মানববন্ধনে দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক সমাজ পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা ও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি। আপনারা জানেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আবারও একদলীয় প্রহসনমূলক নির্বাচনের সব আয়োজন করা হয়েছে। বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো দীর্ঘদিন ধরে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছে। তারই অংশ হিসেবে গত ২৮ অক্টোবর সবচেয়ে বড় সমাবেশ ডাকে বিএনপি। কিন্তু সেখানে পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে সমাবেশ ভণ্ডুল করে সরকার। সেদিনের ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ দলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এরই মধ্যে গ্রেফতারের সংখ্যা ১০ হাজারে উন্নীত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার এমন প্রহসনের মধ্যদিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের দেশের গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। টাইম ম্যাগাজিনে শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে স্টোরি লেখা হয়েছে, সেখানে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে তার ক্ষমতায় আসা এবং একই কায়দায় ২০২৪ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে একটি ফ্যাসিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠার আশঙ্কা করা হয়েছে।