শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে বাশিস’র মানববন্ধন

বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন তথা শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই সাথে শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান বৈষম্য নিরসনসহ শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে জাতীয়করণের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি(বাশিস)।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বাশিস) সভাপতি এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র নজরুল ইসলাম রনির সভাপতিত্বে এ শিক্ষক সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

এসময় শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে বক্তারা বলেন, বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক বৈষম্য বিরাজমান। সরকারি চাকরিজীবীরা ২০১৫ সাল থেকে ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট পেল, বেসরকারি শিক্ষকরা পেয়েছেন ২০১৮ সাল থেকে। তাও আবার কোনোরকম বকেয়া ছাড়াই। একই অবস্থা বৈশাখী ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও। মড়ার উপর খাড়ার ঘা। এ আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কেটে নেওয়া হচ্ছে বাড়ছি কোনো সুবিধা প্রদান ব্যাতিরেকেই।

তারা আরও বলেন, অবিশ্বাস হলেও সত্য যে, বেসরকারি শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পাচ্ছেন। তাদের বাড়ি ভাড়া ১০০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা, শ্রান্তি বিনোদন ভাতা, সন্তানের শিক্ষা ভাতা একেবারেই নেই। তাদের চাকরিতে কোন বদলি নেই যেখানে শুরু সেখানেই শেষ! বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত স্বপ্ন ছিল, শোষণ ও বৈষম্যহীন গড়ে তোলা। এদেশের ভূখানাঙ্গা ও দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানো।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) সভাপতি নজরুল ইসলাম রনি বলেন, বাংলাদেশের সকল বেসরকারি শিক্ষকদের প্রাণের দাবি জাতীয়করণ। শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান পাহাড় বৈষম্য নিরসনে শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষকদের প্রত্যাশা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত স্বপ্ন শোষণ ও বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার অচিরেই শিক্ষা জাতীয়করণ ঘোষণা দেবে।

বাশিসের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ভূঞার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাশিলো প্রধান উপদেষ্টা সাইদুল হোসেন সাহেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ফোরা সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মাইনুদ্দিন, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুর রহমান।

এসময় অন্যান্যরা বলেন, শিক্ষা জাতীয়করণ হলে বঙ্গবন্ধুর বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। জাতীয়করণের দাবিতে এবং বৈষম্য নিরসন, ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক শিক্ষক নির্যাতন ও চাকরিমুভির প্রতিবাদ জানিয়ে আরও বক্তব্য রাখেন।

বক্তব্য রাখেন- বাশিসের মহাসচিব মোহাম্মদ আতিকুর রহমান তালুকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মহসীন আলী, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. লুৎফর রহমান অতিরিক্ত মহাসচিব ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান, তানিয়া আক্তার, মো. মোস্তফা কামাল, আবুল কাশেম, জ সম্পাদক কামাল হোসেন কার্যকরী সদস্য আব্দুর রহিম, মুর্তুজা আলম, দিলরুবা খান, রাজশাহী জেলার সভাপতি মো. তারিকুল ইসলাম গাজীপুর জেলা বাশিসের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম, কক্সবাজার জেলা বাশিসের সভাপতি অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ হানিফ, কুমিল্লা জেলা বাশিসের সভাপতি প্রশান্ত কুমার সরকারসহ জেলা ও উপজেলা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ।